Advertisement
Advertisement

Breaking News

LTTE

‘নতুন জীবন পেলাম’, জেল থেকে বেরিয়ে বললেন রাজীব হত্যায় দোষী নলিনী

তিন দশক জেলে থাকার পর মুক্তি।

Rajiv Gandhi assassination case convict Nalini Sriharan walks free | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 12, 2022 9:24 pm
  • Updated:November 12, 2022 9:33 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘নতুন জীবন পেলাম’। শনিবার জেল থেকে বেরিয়ে এটাই ছিল রাজীব হত্যায় দোষী নলিনী শ্রীহরণের প্রথম বক্তব্য। এদিন ভেলোর কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে আবেগে ভাসলেন এককালের দুর্ধর্ষ ‘তামিল টাইগার’। আজই কিছুক্ষণের মধ্যে জেল থেকে ছাড়া পাবেন আর পি রবিচন্দ্রন। এমনটাই খবর।

৩৩ বছর জেলে থাকার পর মুক্তি পেয়েছেন রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় দোষী নলিনী শ্রীহরণ-সহ ৬ অভিযুক্ত। শুক্রবার তাঁদের সাজা মকুব করার সিদ্ধান্ত নেয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। রাজীব হত্যার সপ্তম অভিযুক্ত পেরারিভেলানকে চলতি বছরের মে মাসেই জামিনে মুক্তি দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। আজ শনিবার নলিনীকে কারামুক্ত করা হয়। বাকিদেরও দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হবে বলে খবর। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: তিনদিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার ভূমিকম্প দিল্লিতে, কেঁপে উঠল রাজধানীর পার্শ্ববর্তী এলাকাও]

১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুম্বুদুরে কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন রাজীব গান্ধী। সেখানে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গি সংগঠন লিবারেশন টাইগারস অফ তামিল ইলম (এলটিটিই)। এলটিটিই-র (LTTE) সদস্য ধানু নামে এক মহিলা আত্মঘাতী জঙ্গি নিজেকে বোমার সঙ্গে উড়িয়ে দিয়েছিল। তাতেই মৃত্যু হয় ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর। এই ঘটনায় মোট সাতজনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। অভিযুক্ত ছিল মুরুগান, সান্থান, পেরারিভালান, জয়াকুমার, রবিচন্দ্রন, রবার্ট পায়াস ও নলিনী। প্রথমে এদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলেও পরে সাজা কমিয়ে যাবজ্জবীন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মূলত সোনিয়া গান্ধীর হস্তক্ষেপেই সাজা কমে তাদের।

সেই তখন থেকেই জেলে ছিল অভিযুক্তরা। যদিও এর মাঝে তামিলনাড়ুর একাধিক সরকার এই দোষীদের মুক্তি দেওয়ার সুপারিশ করেছে। আসলে রাজীব হত্যা মামলার (Rajiv Gandhi Assassination) সঙ্গে তামিলদের আবেগ জড়িয়ে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হত্যাকারীদের জঙ্গি বলে মনে করে না তামিলভুমের একটা বড় অংশ। সেকারণেই তামিলনাড়ুর সরকার বারবার দোষীদের মুক্তির সুপারিশ করেছে। শেষবার ২০১৮ সালে তামিলনাড়ুর এআইএডিএমকে (AIADMK) সরকার রাজীব হত্যার দোষীদের মুক্তির সুপারিশ করে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি সেটা খারিজ করে দেন। এরপর দোষীরা মুক্তি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়। সুপ্রিম কোর্ট তামিলনাড়ু সরকারের সেই সুপারিশের কথাও এদিনের রায়ে উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্ট।

[আরও পড়ুন: প্রথা ভেঙে এবার দেরিতে বসছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন, কটাক্ষ বিরোধীদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement