Advertisement
Advertisement

Breaking News

শচীন পাইলট অশোক গেহলট

‘শচীন পাইলট নিষ্কর্মা, নিরীহ চেহারার আড়ালে পিছন থেকে ছুরি মেরেছে’, তোপ গেহলটের

বিধায়ক পদ নিয়ে স্পিকারের সিদ্ধান্তে এখনই হস্তক্ষেপ করতে পারবে না আদালত, দাবি কংগ্রেসের।

Rajasthan Politics: Ashok Gehlot attacks Sachin Pilot once again
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 20, 2020 5:39 pm
  • Updated:July 20, 2020 5:42 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজস্থান হাই কোর্টে শচীন পাইলটের (Sachin Pilot ) বিধায়কপদ খারিজের মামলার শুনানি তখনও চলছে। তারই মধ্যে নিজের প্রাক্তন ডেপুটিকে নজিরবিহীন আক্রমণ শানালেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot)। তাঁর অভিযোগ, নিজের নিরীহ চেহারার সুযোগ নিয়ে কংগ্রেসকে পিছন থেকে ছুরি মেরেছেন পাইলট।

সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বললেন,”শচীন পাইলট যে খেলাটা খেলল সেটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। এত নিরীহ চেহারা। কেউ বিশ্বাসই করতে পারেন না, এই লোকটা এমন করতে পারে। বিজেপির সঙ্গে মিলে গত ৬ মাস ধরে কংগ্রেস (Congress) সরকার ফেলার চেষ্টা করছিল। ৭ বছর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছিল। কিন্তু কোনওদিন ওর বিরুদ্ধে কেউ কোনও প্রশ্ন তোলেনি। আমরা জানতাম ওর আমলে কোনও কাজ হচ্ছে না। কিন্তু তবু ওকে নিয়ে কোনও প্রশ্ন আমরা করিনি। ভেবেছিলাম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এটুকু সম্মান প্রাপ্য। কিন্তু ও আমাদের পিছন থেকে ছুরি মারল।” অনেকেই বলছেন গেহলটের এই মন্তব্যের পর একটা জিনিস পরিষ্কার, শচীন পাইলটের কংগ্রেসে ফেরার আর কোনও রাস্তা নেই।

Advertisement

[আরও পড়ুন: শীঘ্রই আস্থা ভোট রাজস্থানে? শচীনকে চাপে ফেলতে তৈরি গেহলটের ‘প্ল্যান বি’]

এদিকে পাইলট ও অনুগামীদের বিধায়ক পদ বাতিলের মামলার শুনানি এখনও চলছে। মঙ্গলবার এই মামলার চূড়ান্ত রায়দান। তার আগে কংগ্রেস শিবির দাবি করেছে, রাজস্থানের স্পিকার এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। তিনি নোটিস পাঠিয়েছেন শুধু। এই নোটিসের ভিত্তিতে প্রত্যেক বিধায়কের যুক্তি শোনা হবে। এবং তারপর তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন। আর স্পিকার সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত আদালত এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। অন্যদিকে, পাইলট শিবির নিজেদের বক্তব্য পেশের জন্য ২২ জুলাই পর্যন্ত সময় চেয়েছে। এবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বিচারপতি।

[আরও পড়ুন: ‘ঘোড়া কেনাবেচা’র অভিযোগ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নোটিস পাঠাল রাজস্থান পুলিশ]

এরই মধ্যে আবার দুটো বড় ঘটনা ঘটে গিয়েছে মরু রাজনীতিতে। এক, গেহলট শিবিরের এক কংগ্রেস বিধায়ক দাবি করেছেন, শচীন পাইলট তাঁকে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার জন্য ৩৫ কোটি টাকার টোপ দিয়েছিলেন। যাতে রেগে আগুন পাইলট আবার ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করার হুমকি দিয়েছেন। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা যেটা ঘটেছে, সেটা হল বিজেপি সভাপত জেপি নাড্ডা (JP Nadda) এবং সহ-সভাপতি ওম মাথুরের বৈঠক। মাথুর রাজস্থানের রাজনীতি খুব ভাল বোঝেন। তাঁর সাথে নাড্ডার বৈঠকে স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা ছড়িয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement