প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ময়নাতদন্ত সারা হয়ে গিয়েছে। ঘণ্টা চারেক ফ্রিজে রেখে দেওয়ার পর চুল্লিতে ঢোকানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল লাশ। তখনই ঘটল ম্যাজিক। হঠাৎ প্রাণ ফিরে পেল সেই মৃতদেহ। প্লাস্টিকের ভেতর থেকে হাত বের করে খাটিয়ায় উঠে বসলেন ব্যক্তি। এমনই ভূতুড়ে কাণ্ড ঘটেছে রাজস্থানের ঝুনুঝুনুতে। কিন্তু শরীরে কাটাছেঁড়া করার পর কীভাবে বেঁচে উঠলেন ব্যক্তি?
এই অদ্ভুত ঘটনার তদন্তে নেমে প্রকাশ্যে এল প্রকাশ্যে এল বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম রোহিতেশ। মানসিক ভারসাম্যহীন ও বিশেষভাবে সক্ষম ওই ব্যক্তি একটি এনজিও-র তত্ত্বাবধানে থাকতেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁকে ঝুনুঝুনুতে এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কিছুক্ষণ আইসিইউতে রাখার পর চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয় মর্গে। সেখানে ময়নাতদন্তের পর ওই ব্যক্তির দেহের কোনও দাবিবার না থাকায় পুলিশ দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করে। তার আগে ঘণ্টা চারেক ফ্রিজে রাখা হয় দেহ। সেখান থেকে দেহ চুল্লিতে নিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ উঠে বসেন ব্যক্তি। যা দেখে চোখ কপালে ওঠে খোদ পুলিশের।
এর পরই জানা গেল গোটা ঘটনার পিছনে রয়েছে চিকিৎসকদের চূড়ান্ত গাফিলতি। তদন্তে জানা যাচ্ছে, যেহেতু ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন, এবং দেহের কোনও দাবিদার নেই, তাই ময়নাতদন্তই করেননি চিকিৎসকরা। দায়সারা ভাবে একটি নকল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পুলিশকে দিয়ে দেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে, যে চিকিৎসক রোহিতকে মৃত বলে ঘোষণা করেছেন তাঁর ভুমিকা নিয়েও। হাসপাতালের মুখ্য মেডিক্যাল অফিসার সন্দীপ পচার ও তাঁর দুই সহকর্মী যোগেশ জাখর ও নবনীত মিলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই প্রশাসনের তরফে জেলা রেভেনিউ অফিসার ও পুলিশকে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করেই একে একে প্রকাশ্যে আসে চিকিৎসকদের এই চরম গাফিলতির বিষয়টি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.