প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের গণপিটুনিতে মৃত্যু। মুসলিম সম্প্রদায়ের গৃহবধূ ও তাঁর বোনের সঙ্গে পরকীয়া। রাজস্থানে গণপিটুনিতে মৃত্যু হল দলিত যুবকের। মৃত যুবক স্থানীয় বিজেপি নেতার ভাই। অভিযোগ, প্রেমের সম্পর্কের কথা জানাজানি হতেই তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। মৃত যুবকের নাম খেতারাম ভীল (২৪)। চলতি মাসের ২০ তারিখে ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের বারমের জেলার মকরান-কা-তালা গ্রামে। মৃত খেতারামের বাড়ি পাশের গ্রাম ভিন্দে-কা-পার এলাকায়। এই ঘটনায় ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম পাঠাই খান ও আনওয়ার খান। ধৃতরা সম্পর্কে ভাই। গণপিটুনিতে এই দু’জনই যুক্ত ছিল। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও আটজনকে আটক করা হয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত অর্থাৎ ওই গৃহবধূর স্বামী পলাতক।
[পোস্টার ছেড়ে আলিঙ্গন এবার বাস্তবে, অভিনব প্রচারে শামিল কংগ্রেস কর্মীরা]
পুলিশ জানিয়েছে, গৃহবধূর স্বামীর জমি লিজ নিয়েছিলেন খেতারাম। সেখানেই চলত চাষবাসের কাজ। বাড়ি থেকে প্রতিদিন মাঠে যাতায়াত করতেন। জমির মালিকের বাড়িতেও যাতায়াতও ছিল খেতারামের। সবসময় মালিক বাড়িতে না থাকলে মালিকের স্ত্রী সঙ্গেই কথাবার্তা চলত। সেই সূত্রেই দু’জনের মধ্যে একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ধীরে ধীরে তা অভিসারে গড়ায়। এদিকে জমির মালিকের বাড়িতেই থাকতেন তাঁর শ্যালিকা। দিদিকে ছেড়ে খেতারাম পরবর্তিতে বোনের দিকে ঝোঁকেন। তাঁর সঙ্গেও সম্পর্ক তৈরি হয়। গ্রামের মধ্যে ভিন্ন সম্প্রদায়ের মেয়ে বউয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন দলিত যুবক। খবরটি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফুটতে থাকেন গৃহবধূর স্বামী। খেতারামকে হাতেনাতে ধরার পরিকল্পনাও করেন। তবে সাবধানি খেতারাম তাঁকে সেই সুযোগ দেননি।
ঠিক করা হয় খেতারাম গ্রামের বাইরে বেরলেই তাকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। ২০ তারিখ রাতে পার্শ্ববর্তী গ্রামে যান খেতারাম। তখনই তাকে পাকড়াও করে বেধড়ক মারধর করা হয়। গণপিটুনির জেরে মৃত্যু হয় যুবকের। পরের দিন সকালে পরিবারের লোকজন জঙ্গল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে। মৃত যুবকও বিবাহিত। তাঁর তিনটি সন্তান রয়েছে। মূল অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.