সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের মূল হাতিয়ার হতে চলেছে জাতিগত জনগণনা। একাধিক সাম্প্রতিক জনসভায় সে ইঙ্গিত দিয়েছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এবার কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে জাতিগত জনগণনা শুরু করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল দল। শুক্রবার কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) ঘোষণা করলেন, বিহারের মতো সেরাজ্যেও জাতিগত জনগণনা হবে।
আসলে আসন্ন জনগণনায় জাতপাতের উল্লেখ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। অর্থাৎ দেশের কত শতাংশ বাসিন্দা তফসিলি জাতি বা উপজাতির, কত শতাংশ ওবিসি, কিছুই ঘোষণা করা হবে না। কেন্দ্রের দাবি, এভাবে আলাদা করে জাতপাত ঘোষণা করলে বিভেদ বাড়বে। বিরোধীরা তাতে নারাজ। বিরোধী শিবিরের দাবি, আলাদা আলাদা শ্রেণির মানুষের সংখ্যা জানলে তাদের জন্য কাজ করতে সুবিধা হবে সরকারেরই। কোন শ্রেণির মানুষ কত শতাংশ, সেটা জানলে সেই মতো প্রকল্প তৈরি করা যায়।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের পালটা হিসাবে বিহার সরকার আলাদা করে জাতিগত জনগণনা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জাতিগত জনগণনার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বিহারের জনসংখ্যার ৬৩ শতাংশ অনগ্রসর শ্রেণি সম্প্রদায়ের। তার মধ্যে ৩৬ শতাংশই অত্যধিক অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত। জেনারেল কাস্টের অন্তর্গত রয়েছেন ১৫ শতাংশ জনতা। এছাড়াও তফসিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন ১৯ শতাংশ। সেই রিপোর্ট সামনে আসতেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
রাহুল গান্ধী নিজেই প্রশ্ন তুলছিলেন এত বেশি সংখ্যক ওবিসিদের প্রতিনিধিত্ব কেন্দ্রীয় স্তরে কম কেন? এমনকী কংগ্রেসের অন্দরেও জাতিগত জনগণনা নিয়ে সরব হওয়ার দাবি উঠছিল। সেই দাবি মেনেই ভোটের মুখে রাজস্থান সরকার জাতিগত জনগণনা করার সিদ্ধান্ত নিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.