সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তবলিগি জামাত সদস্যদের এক কিশোরের নামে স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শোনা যায়, এই জামাত সদস্য স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের গায়ে থুতু ছিটিয়ে দিচ্ছেন। এইমস-এর তরফ থেকে সেই অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়। রায়পুরের মন্ত্রী সুনীল সোনিও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ দায়ের করেন।
নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের দেশজুড়ে দেখা হচ্ছে সন্দিহান দৃষ্টিতে। তবলিগি জামাতের সদস্যদের ‘করোনা সংক্রমণের উৎস’ হিসেব চিহ্নিত করা হচ্ছে। কয়েকদিন ধরেই রায়পুরের হাসপাতালে এক নাবালক জামাত সদস্যের বিরুদ্ধে চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্মীদের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ ওঠে। রায়পুরের মন্ত্রী সুনীল সোনিও অভিযুক্তকে হাসপাতালের ‘সমস্যার সৃষ্টিকারী’ বলেই চিহ্নিত করেন। এমনকি স্থানীয় টেলিভিশনেও সেই খবর দেখানো হয়। পরে ছত্তিশগড়ের বিশেষ মনিটরিং সেল এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করে তা মিথ্যে প্রমাণিত করে। ফলে স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলি ঘটনাটিকে মিথ্যে বলেই প্রচার করে। তবে এইমস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সেই তথ্যকে মিথ্যে বলে দাবি করা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান,”করোনা আক্রান্ত এই নাবালক কোরবার বাসিন্দা। কোনও চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে সে অভব্য আচরণ করেনি। এমনকি তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে। উলটে সে হাসপাতালের সমস্ত নিয়ম মেনে চলছে।”
রায়পুরের মন্ত্রী অভিযুক্ত নাবালকেক ব্যবহারকে ‘আপত্তিকর’ বলে মন্তব্য করেন। রায়পুরের মন্ত্রী সিনীল সোনির কথায়,” জামাতের সদস্য ওই নাবালকের ব্যবহার যথেষ্ট অভব্য। তাই আমি রায়পুরের এইমসের চিকিৎসকদের তার জন্য একটি আলাদা আইসোলেসন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব জানাই।” ছত্তিশগড় ওয়াকফ বোর্ডের প্রধান সালাম রিজভি মন্ত্রী সুনীল সোনির মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন। পাশাপাশি লোকসভার একটা গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে কিভাবে একজন মন্ত্রী মিথ্যে খবর ছড়াতে পারেন তা নিয়ে পালটা প্রশ্ন করেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.