শুভময় মণ্ডল: ট্রেন নাকি ভাঙা টিনের বাড়ি? ডাউন পুরী-হাওড়া শতাব্দী এক্সপ্রেসের কামরা দেখলে তা বোঝা দায়৷ স্বাচ্ছন্দ্যের ট্রেনযাত্রা বদলাল ভোগান্তিতে৷ বেশি টাকা খরচ করে টিকিট কাটার পরেও কাকভেজা হয়েই গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে যাত্রীদের৷ তবে যাতায়াতকারীদের ভোগান্তিতেও ঘুম ভাঙেনি রেল কর্তৃপক্ষের৷
নির্ধারিত সময়ের প্রায় কিছুটা পরে রবিবার সকাল পৌনে ছ’টা নাগাদ পুরী থেকে এদিন শতাব্দী এক্সপ্রেস ছাড়ে৷ দিব্যি চলছিল সুখের ট্রেনযাত্রা৷ কিন্তু আচমকাই আকাশ কালো করে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে৷ ছুটন্ত ট্রেনের জানলায় চোখ রেখে সবেমাত্র চারদিকের শোভা উপভোগ করতে শুরু করেন যাত্রীরা৷ কিন্তু আচমকাই ছন্দপতন৷ কারণ, সি-ওয়ান কামরার ছাদ চুঁইয়ে ততক্ষণে জল পড়তে শুরু করেছে৷ শৌচালয়ের আশপাশ প্রায় জল থইথই পরিস্থিতি৷ একরাশ বিরক্তি নিয়ে কোনওক্রমে পা সরিয়ে বসার চেষ্টা করছিলেন যাত্রীরা৷ বরুণদেবের কৃপায় তাই বা হল কই? পরিবর্তে মুহূর্তের মধ্যেই যাত্রীদের বসার জায়গাতেও চুঁইয়ে জল পড়তে শুরু করে৷ বাধ্য হয়ে মাথায় কাগজ চাপা দিয়ে আবার কেউবা সন্তানকে জলের হাত থেকে বাঁচাতে রেনকোট পরিয়ে দিয়েছেন৷
দ্রুততম বিলাসবহুল ট্রেনগুলির মধ্যে একটি শতাব্দী এক্সপ্রেস৷ বিলাসবহুল ট্রেনেও ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ার ঘটনায় রীতিমতো বিরক্ত যাত্রীরা৷ শুভেন্দু পাল নামে এক যাত্রী বলেন, ‘‘ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণ পর পর্যন্ত সবকিছু ঠিকই ছিল৷ আচমকাই এমন বৃষ্টি৷ কীভাবে যে এতটা সময় কাটবে বুঝতে পারছি বা৷ বেশি দামে টিকিট কাটার পরেও যদিও এমন ভোগান্তি হয়, তবে আর কী-ই বা বলব?’’
দূরপাল্লার ট্রেনগুলির খাবারের গুণগত মান নিয়ে বহুবার নানা অভিযোগ উঠেছে৷ এছাড়াও সময়মতো রেল পরিষেবা না পাওয়ায় সাধারণ মানুষের ভরসা প্রায় তলানিতে ঠেকেছে৷ এবার আবার শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো বিলাসবহুল ট্রেনের ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ার ঘটনায় আবার সামনে এল ভারতীয় রেলের কঙ্কালসার চেহারা৷ তবে ভরা বর্ষাতেও কার্যত শীতঘুমে রেল কর্তৃপক্ষ৷ যাত্রীদের ভোগান্তি সত্ত্বেও মুখে কুলুপ তাদের৷
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.