সুব্রত বিশ্বাস: রেলমন্ত্রকের নিজস্ব টুইটার হ্যান্ডল তো ছিলই, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে যাত্রীদের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রাখতেন সুরেশ প্রভু। টুইট করে নিজের অভাব-অভিযোগ, দাবি-দাওয়ার কথা সরাসরি রেলমন্ত্রীকে জানাতে পারতেন সাধারণ যাত্রীরা। ট্রেন সফর করার সময়ে বিপদে পড়লেও যাত্রীদের সাহায্য করতেন খোদ রেলমন্ত্রী। দিল্লিতে রেলভবনে ছিল টুইট সেলের দপ্তর। কিন্তু, এখন জমানা বদলেছে। রেলমন্ত্রকের টুইট সেলটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বর্তমান রেলমন্ত্রী পীষূষ গোয়েল। জানা গিয়েছে, সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ শুনতে একেবারেই আগ্রহী নন মন্ত্রীমশাই!
[‘নারায়ণ, নারায়ণ,’ মোদি-আসারামের ভিডিও পোস্ট করে কটাক্ষ আইসিসির]
এনডিএ শরিক শিব সেনা থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। মোদি সরকারের রেলমন্ত্রী হয়েছিলেন দলত্যাগী সুরেশ প্রভু। রেলমন্ত্রকের দায়িত্ব নেওয়ার পর, ২০১৬ সালে একটি টুইট সেল খুলেছিলেন তিনি। সেখানে টুইট করে অভাব-অভিযোগ ও দাবি-দাওয়া জানাতে পারতেন রেলের সাধারণ যাত্রীরা। সেই অভিযোগ আবার সরাসরি পৌঁছে যেত খোদ রেলমন্ত্রীর টুইটার হ্যান্ডলে। অনেকবারই চলন্ত ট্রেনে বিপদগ্রস্ত যাত্রীদের সাহায্য করেছিলেন সুরেশ প্রভু। কিন্তু, একের পর এক রেল দুর্ঘটনায় জেরবার হয়ে নিজেই পদত্যাগ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। গত বছরের মাঝামাঝি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হয়। নয়া রেলমন্ত্রী হন পীষূষ গোয়েল। সূত্রের খবর, রেলের সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ শুনতে ততটা আগ্রহী নন বর্তমান রেলমন্ত্রী। রেলের নিজস্ব প্রচারমূলক টুইটার হ্যান্ডলটিই বেশ পছন্দ তাঁর। পীষূষ গোয়েলের জমানায় গুরুত্ব কমেছে রেল সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর টুইটার হ্যান্ডলটির। বস্তুত, দিল্লিত রেলভবনে চারতলা থেকে টুইট সেলের দপ্তরে সরিয়ে ফেলা হয়েছে পাঁচতলার অপেক্ষাকৃত ছোট একটি ঘরে। শেষপর্যন্ত, টুইট সেলটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রেলমন্ত্রক। রেল সূত্রে খবর, এখন প্রতিদিন অভাব অভিযোগ জানিয়ে কিংবা সাহায্য চেয়ে রেলমন্ত্রককে টুইট করেন ২০ হাজার রেলযাত্রী। কিন্ত, সাহায্য পান মোটে ৩০০ জন।
[নাবালিকা ধর্ষণে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারামের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.