সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূরপাল্লার ট্রেনে চাপবেন। ট্রেনে ওঠার আগে আপনি প্রথমে দেখেন কোচ এবং বার্থের নম্বর। এই নম্বর মেলানোর জন্য স্টেশনে থাকা বোর্ড বা ট্রেনের বগিতে সাঁটানো তালিকায় চোখ রাখেন। দক্ষিণ রেলওয়ের কোনও ট্রেনে উঠলে আপনাকে এই অভ্যাস ছাড়তে হবে। ওই জোনে সংরক্ষিত কামরায় গায়ে যাত্রীদের নামের তালিকা আপাতত টাঙানো থাকবে না। শুনতে অবাক লাগলেও, এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ রেলওয়ে। আগামী ১ মার্চ থেকে A1, A ও B তালিকাভুক্ত স্টেশন যেসব দূরপাল্লার ট্রেন ছাড়বে, সেইসব ট্রেনের সংরক্ষিত কামরায় যাত্রীদের কোনও তালিকা প্রকাশ করা হবে না। আগামী ৬ মাস পরীক্ষামূলকভাবে এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে জানা গিয়েছে। ফলে বয়স্ক যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
[কেলেঙ্কারি ধরে ফেলে আমরাই গোয়েন্দাদের জানিয়েছি, সাফাই পিএনবি কর্তার]
কেউ অনলাইনে টিকিট কাটেন, কেউ আবার কাউন্টার থেকে টিকিট কেনেন। কিন্তু, যেভাবে টিকিট কাটা হোক না কেন, সংরক্ষিত কামরার টিকিটে কোচ নম্বর ও বার্থ নম্বর উল্লেখ থাকে। আবার ওয়েটিং লিস্টে থাকা যাত্রীদের টিকিট কনফার্মড হয়ে গেলেও, এসএমএস করে কোচ নম্বর ও বার্থ নম্বর জানিয়ে দেয় রেল। কিন্তু, এতকিছু পরেও, বিভ্রান্তি এড়াতে সংশ্লিষ্ট ট্রেনের প্রতিটি সংরক্ষিত কামরায় যাত্রীদের নাম তালিকাও সেঁটে দেওয়া হয়। ট্রেনে ওঠার আগে সেই তালিকায় একবার চোখ বুলিয়ে নেন যাত্রীরা। এই ব্যবস্থায় যাত্রীদের যেমন সুবিধা হয়, তেমনি সংরক্ষিত কামরার বৈধ যাত্রীদের সহজেই শনাক্ত করতে পারেন টিকিট পরীক্ষদেরও। কিন্তু, এই ব্যবস্থায় এবার ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিল দক্ষিণ রেলওয়ে।
[PNB-তে ১১,৫০০ কোটি টাকার দুর্নীতি, সিবিআইয়ের নজরে ধনকুবের নীরব মোদি]
দক্ষিণ রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, A1, A ও B তালিকাভুক্ত স্টেশন থেকে যে দূরপাল্লা ট্রেনগুলি ছাড়বে, সে ট্রেনগুলির সংরক্ষিত কামরায় বাইরে যাত্রীদের নামের তালিকা থাকবে না। আগামী ১ মার্চ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ৬ মাস এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। ইলেকট্রিক ডিসপ্লে বোর্ড দেখেই ট্রেনে উঠতে হবে সংরক্ষিত কামরা যাত্রীদের। কিন্তু, কেন এমন আজব সিদ্ধান্ত? দক্ষিণ রেলওয়ের কর্তাদের দাবি, যাত্রীদের মতামতের ভিত্তিতে নাকি সংরক্ষিত কামরায় গায়ে যাত্রীদের তালিকা না সাঁটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সমস্যায় পড়বেন রাজধানী, শতাব্দী, হামসফর, দুরন্ত, এমনকী, গরিব রথের মতো দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রীরা। দক্ষিণ রেলের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ প্রাক্তন রেলকর্তাদের একাংশ। তাঁদের আশঙ্কা, সংরক্ষিত কামরায় গায়ে যদি যাত্রীদের তালিকা সাঁটানো না থাকে, তবে স্টেশনগুলি বিশৃঙ্খলতা তৈরি হবে। হয়রান হবেন বয়স্ক যাত্রীরা। কারণ, আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে একেবারেই সড়গড় নন তাঁরা।
[কেন্দ্রকে ছাড়ব না, নীরব ইস্যুতে কেন্দ্রের ‘নীরবতায়’ তোপ মমতার]
প্রসঙ্গত, সংরক্ষিত কামরার যাত্রীদের তালিকার প্রকাশ না করার বিষয়টি নতুন নয়। গত বছরের অক্টোবরে রেলওয়ে বোর্ডের সুপারিশে নিউ দিল্লি, চেন্নাই সেন্ট্রাল, বম্বে সেন্ট্রাল, নিজামুদ্দিন, হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনে পরীক্ষামূলকভাবে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। মাত্র তিনমাসের জন্য। তাতে একরাশ বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। এবার কী হয় তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা।
[প্রকাশ্যে প্রস্রাব রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর, সোশ্যাল মিডিয়ায় একেবারে ছিছিক্কার]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.