Advertisement
Advertisement

Breaking News

এবার গার্ড ছাড়াই ছুটবে ট্রেন, আশঙ্কা দুর্ঘটনা বাড়ার

সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত ট্রেনে কোনও গার্ড থাকবে না!

Railways to run trains without guards
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 5, 2017 5:46 am
  • Updated:October 5, 2017 5:46 am  

সুব্রত বিশ্বাস: নিরাপত্তার সব বিধি জলাঞ্জলি দিয়ে এবার গার্ড ছাড়াই ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। পশ্চিম-মধ্য রেলের জব্বলপুর, ভোপাল ও কোটা ডিভিশনে রীতিমতো আইন জারি করা হয়েছে, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত ট্রেনে কোনও গার্ড থাকবে না। এই নির্দেশ কার্যকর করতে প্রাথমিকভাবে মালগাড়িকে বাছা হয়েছে। যদিও চালক ও কর্মী সংগঠনগুলি এই মুহূর্তে এই নিয়মের বিরোধিতা শুরু করে সরব হয়েছে।

[স্কুলে ছড়াচ্ছে মাদক মেশানো ক্যান্ডি, জারি সতর্কতা]

Advertisement

পূর্ব রেল মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সূর্যেন্দ্রকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “রেলের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত বিপজ্জনক। সুরক্ষা নিয়ে যখন সবচেয়ে বেশি চিন্তাভাবনা চলছে, তখন ট্রেন সুরক্ষার ক্ষেত্রে গার্ডের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। গার্ড ছাড়া ট্রেন চলাচল অসম্ভব। আগামী ২৩ ও ২৪ অক্টোবর দিল্লিতে বোর্ডের সঙ্গে ইউনিয়নগুলির বৈঠকে সিদ্ধান্ত বদলের দাবি জানানো হবে।” চালকরা ইতিমধ্যে সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, ৫০০ থেকে ৭০০ মিটার লম্বা ট্রেন সামলানো চালকের পক্ষে সম্ভব নয়। যদিও রেল বোর্ড সূত্রে বলা হয়েছে, চালককে প্রশিক্ষণের সময় গার্ডের কাজের প্রশিক্ষণ নিতে হয়। ফলে তাঁদের পক্ষে এই দায় সামলানো অসুবিধার কিছু নয়।

গার্ডের সংখ্যা কমে যাওয়ায় রেল গার্ড ছাড়া ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ বেশ কয়েক বছর আগে রেল গার্ডকে ট্রেনের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কর্মী বলে বর্ণনা করা হয়েছিল। গার্ডকে রীতিমতো হাতির মতো ক্ষমতাশালী ও ব্যক্তিত্বপূর্ণ বলে ব্যাখ্যা করেছিল। হাতিকে কোট-টাই পরিয়ে গার্ডের বেশে হাতে লণ্ঠনও ধরানো হয়েছিল। যার নামও দেওয়া হয়েছিল ‘ভলু দ্য গার্ড’। ট্রেনকে শুধু সবুজ সংকেত দেওয়া গার্ডের কাজ নয়। পুরো ট্রেনটি পরিচালনার দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। শান্টিং থেকে কশান, সব অর্ডারই দিতে হয় তাঁকে। কাপলিং ভাঙলে স্টেশন মাস্টার থেকে কন্ট্রোলে খবর দেওয়ার কাজ এই গার্ডেরই।

[শারদ কার্নিভালে সেরা ট্যাবলোর পুরস্কার পাচ্ছে শহরের এই পুজোগুলি]

সব চেয়ে অসুবিধা মালগাড়ির ক্ষেত্রে, কারণ, একটি মালগাড়িতে ৫০টির বেশি ওয়াগন থাকে। চালকের দৃষ্টি ট্রেনের সামনে থাকে পিছনের দিক সামলাবেন কী করে, এই প্রশ্ন এখন বড় হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি সুরক্ষার ক্ষেত্রে যে প্রশ্ন উঠে এসেছে তা হল১০ ঘণ্টা ডিউটি। কাপলিং ভাঙলে চালকের সঙ্গে সংযুক্ত কোচের ব্রেক লাগানো সম্ভব হলেও গার্ডের কোচের সংযোগকারী কোচের ব্রেক লাগবে কী করে? চালকরা ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, দুর্ঘটনাকে ‘আলিঙ্গন’ করতেই রেলের এই সিদ্ধান্ত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement