Advertisement
Advertisement
Train

পুজোর মরশুমে হাওড়া, শিয়ালদহ থেকে ১৩টি ট্রেন চালাতে চায় পূর্ব রেল

যাত্রীবাহী ট্রেন থেকে রেলের আয় এসময়ে সবচেয়ে বেশী।

Railways planning to 13 more trains during the Puja season | Sangbad Pratidin

ছবি- প্রতীকী

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 24, 2020 8:12 pm
  • Updated:September 24, 2020 8:12 pm  

সুব্রত বিশ্বাস: অক্টোবর পুজোর মাস। যাত্রীবাহী ট্রেন থেকে রেলের আয় এসময়ে সবচেয়ে বেশী। তাই এ সময়ে হাওড়া থেকে ১৩টি অত্যন্ত জনপ্রিয় ট্রেন চালাতে চায় রেল। পূর্ব রেলের প্রিন্সিপ্যাল চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার লিখিতভাবে ওই রেলের প্রিন্সিপ্যাল চিফ অপেরেশন মানেজারকে জানিয়েছেন, ট্রেনগুলিতে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ট্রেনগুলি চালিয়ে যাত্রীদের সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি প্রচুর টাকা আসবে রেলের ভাঁড়ারে। প্রতি মাসে অন্তত ২৩ কোটি টাকা আয় হবে পূর্ব রেলের।

[আরও পড়ুন: প্রিয়াঙ্কার পর অধীর চৌধুরির সঙ্গে সাক্ষাৎ, কাফিল খানের কংগ্রেস-যোগ নিয়ে বাড়ছে জল্পনা]

গত বছর প্রতিদিন ট্রেনগুলির চাহিদা দেড় থেকে দুশো শতাংশ বেশি ছিল। রীতিমতো চাহিদার তথ্যের পাশাপাশি প্রতি ট্রিপে রেলের আয়ের খতিয়ানও তুলে ধরেছেন পিসিসিএম। উত্তরবঙ্গগামী দার্জিলিং মেল ও শরাইঘাট এক্সপ্রেস অত্যন্ত জনপ্রিয় ট্রেনের টিকিটের চাহিদা একশ শতাংশের অনেক বেশি। প্রতি ট্রিপে দার্জিলিং মেলের থেকে আয় হয় ৮.৮৭ লক্ষ ও সরাইঘাট একপ্রেস থেকে ৯.৭৫ লক্ষ। দিল্লিগামী হিমগিরি এক্সপ্রেস সপ্তাহে তিনদিন চালানো যেতে পারে। টিকিটের চাহিদা প্রায় দুশো শতাংশ। অর্থাৎ যা সিট চাহিদা তার দ্বিগুণ। ওই ট্রেনে প্রতি ট্রিপে আয় ১৮.৭১ লক্ষ টাকা। শিয়ালদহ-অমৃতসর এক্সপ্রেসের চাহিদা দেড়শো শতাংশের বেশি। প্রতি ট্রিপে আয়ের পরিমাণ ১৬.৩৫ লক্ষ টাকা। ফারাক্কা থেকে নিউ দিল্লীগামী ট্রেনটির টিকিটের চাহিদা ১৭৭ শতাংশ। প্রতি ট্রিপে আয় হয় ৯ লক্ষ টাকা। শিয়ালদহ রাজধানীর চাহিদা একশো শতাংশের বেশি। আয়ের পরিধিও বেশি। প্রতি ট্রিপে ২৮.৩৩ লক্ষ।

Advertisement

উত্তর বিহারের দিকে যাতায়াতকারী ট্রেন পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেস, গঙ্গাসাগর এক্সপ্রেস, মিথিলা এক্সপ্রেস, জামালপুর এক্সপ্রেস, যোগবানী এক্সপ্রেসে অতিমাত্রায় চাহিদা থাকে টিকিটের। ট্রেনগুলি থেকে প্রতি ট্রিপে যথাক্রমে আয় ৬.৫২ লক্ষ, ২২ লক্ষ, ৫.৩৭ লক্ষ, ৩.৩২ লক্ষ, ৩.১৬ লক্ষ টাকা। আসানসোল ডিভিশনের থেকে জসিডি-তামব্রহ্ম এক্সপ্রেস ও আসানসোল ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাল এক্সপ্রেসে টিকিটের চাহিদা দেড়শো শতাংশের বেশি। প্রতি ট্রিপে আয় হয় যথাক্রমে ১৩.৪০ লক্ষ ও ১৪.৬৭ লক্ষ টাকা।

উৎসবের ভরা মরশুম অক্টোবর মাস। পিসিওএম কে মনে করিয়ে দিয়ে কমার্শিয়াল কর্তার সুপারিশ এই মুহূর্তে রেলের আয়ের পরিধি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ন যাত্রীবাহী ট্রেন দরকার। পাশাপাশি চাহিদাও রয়েছে অতিমাত্রায়। সংশ্লিষ্ট সুপারিশের পাশাপাশি কমার্শিয়াল বিভাগ রেল বোর্ডের বিজনেস ডেভলপমেন্ট ডাইরেক্টরেট বিষয়টি জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের থেকে ছাড়পত্র নিতে চাইবে। করোনা পরিস্থিতিতে রেলের আয় কমে গিয়েছে। আয় দেখার দায়িত্ব কমার্শিয়াল বিভাগের। এই মুহূর্তে উৎসবের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে বাংলা। দুর্গা পুজো, থেকে দিওয়ালি, ছট পুজো-সহ একাধিক উৎসব। যাতে ট্রেনে অতিমাত্রায় ভিড় হয় এই সময়ে। যে সময়ে দূরপাল্লার ট্রেন চালিয়ে আয় বাড়াতে চাচ্ছে পূর্ব রেল।

[আরও পড়ুন:২০২৫ সালের মধ্যে পুরোপুরি যক্ষ্মামুক্ত হবে ভারত! ঘোষণা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement