সুব্রত বিশ্বাস: রেল ও তার পরিষেবার উন্নয়নে যার সুপারিশ করার কথা, তিনিই কি না পাকড়াও হলেন বিনা টিকিটে ভ্রমণ করার অভিযোগে। ভিজিল্যান্সের কড়া পদক্ষেপে তাঁকে দিতে হল জরিমানাও। সেন্ট্রাল রেলের জোনাল রেলওয়ে ইউজার্স কনসালটেটিভ কমিটির সদস্য সঞ্জীব ভার্মার এই কীর্তিতে কার্যত মুখ পুড়েছে কমিটির।
[ আরও পড়ুন: মৃত ঘোষণার জের! চিকিৎসকের ভুলে সারারাত মর্গে কাটিয়ে প্রাণ হারালেন বৃদ্ধ]
দেশজুড়ে রীতিমতো হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার হাবিবগঞ্জ-নিউদিল্লি শতাব্দী এক্সপ্রেসে তিনি দিল্লি যাচ্ছিলেন। ট্রেনে টিকিট পরীক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন মহিলা কন্ডাক্টর। অভিযোগ, ওই মহিলা কন্ডাক্টর টিকিট চাইতেই তাঁকে ভর্ৎসনা করেন অভিযুক্ত সঞ্জীব ভার্মা৷ নিজের পদমর্যাদা ও ক্ষমতা জাহির কারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এরপরেই ভিজিল্যান্স ইন্সপেক্টররা তাঁকে বিনা টিকিটে ভ্রমণের অপরাধে অভিযুক্ত ঘোষণা করেন৷ এবং তাঁর থেকে মোটা অংকের জরিমানা আদায় করেন। জানা গিয়েছে, ভাড়া ও জরিমানা-সহ অভিযুক্তকে চোকাতে হয়েছে মোট ২,৭২৫ টাকা।
[ আরও পড়ুন: স্নানের সময় পুলে ছিঁড়ে পড়ল বিদ্যুতের তার, মৃত ৪ শিশু ]
ওয়েস্ট সেন্ট্রাল রেলের মধ্যে এই ঘটনা ঘটার পরই চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পৌঁছে যায় রেল বোর্ড পর্যন্ত। ওয়েস্ট সেন্ট্রাল রেলের সিপিআরও প্রিয়াঙ্কা দীক্ষিত ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ওই সদস্যের নামে আগেও এমন অভিযোগ উঠেছে। বিনা টিকিটে যাত্রার অভ্যাস রয়েছে তাঁর। টিকিট চাইলেই পদের বাহানা ও হুমকি দেন তিনি। এদিন ট্রেনে ভিজিল্যান্স ইন্সপেক্টররা চেকিংয়ের দায়িত্বে থাকায় তাঁরাই জরিমানা আদায় করেন। ঘটনার পর অভিযুক্ত সঞ্জীব ভার্মা জানান, ‘‘এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। আমি একজন সেন্ট্রাল রেলের প্রবীণ জেডআরইউসিসি সদস্য। বাবা জি পি ভার্মাও এক সময় এই সদস্য ছিলেন। আমার স্ত্রী ও ছেলে সেন্ট্রাল রেলের ডিআরইউসিসি সদস্য।’’ রেল অবশ্য জানিয়েছে, এই সদস্যরা বিনা টিকিটে ভ্রমণ করতে পারেন না। বাড়ি থেকে যে জোনের সদস্য সেই সদর পর্যন্ত যেতে পাস পান। এছাড়া বছরে তিন থেকে চারটি এসি টু-টিয়ারের পাস পান ভ্রমণের জন্য। এর বাইরে টিকিট নিয়ে যাত্রা করতে হবে সদস্যদের। না হলে জারিমানা করা হবে তাঁদেরও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.