Advertisement
Advertisement
রেল

ঘুরপথে বেসরকারীকরণ, ১০০ দিনের লক্ষ্যে দু’টি ট্রেন ‘বিক্রি’র সিদ্ধান্ত রেলের

সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে চাকরি হারাবেন রেলকর্মীদের একটা বড় অংশ।

Railways Ministry decides to sell two trains for 100 days

প্রতীকী

Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:June 21, 2019 9:45 am
  • Updated:June 21, 2019 5:46 pm  

সুব্রত বিশ্বাস:  ঘুরপথে রেলকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার  প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে মোদি সরকার যে পদক্ষেপ করেছেন, তাতে বেসরকারীকরণের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট। ১৮ জুন ‘১০০ দিনের টার্গেটে’ যে নির্দেশ রেল বোর্ড ঘোষণা করেছে তাতে দু’টি ট্রেনকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। চালক ও গার্ড ছাড়া ট্রেনের সব দায়িত্ব দেওয়া হবে বেসরকারি সংস্থাকে। সরাসরি বেসরকারি সংস্থাকে এই মুহূর্তে না দিয়ে প্রথমে আইআরসিটিসির মতো সংস্থার হাতে দেওয়া হবে। রেলকে বাৎসরিক লাইসেন্স ফি দিয়ে আইআরসিটিসি ট্রেন দু’টিকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিতে পারবে। ট্রেন দু’টির টিকিট বিক্রি থেকে ক্যাটারিং, পরিচ্ছন্নতা, বেড রোল, এসি, টিকিট পরীক্ষক সবই থাকবে আইআরসিটিসির হাতে। ফলে রেলের নিজস্ব এসি ও টিকিট পরীক্ষকরা থাকবেন না। এই পদ্ধতিতে যে আগামী দিনে চাকরি খোয়াবেন এসি কর্মী থেকে টিকিট পরীক্ষকরা সে বিষয়ে নিশ্চিত রেল আধিকারিকরা। এজন্য পরিকল্পনাটি নিয়ে রেলের ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠকও করবে রেল বোর্ড। পূর্ব রেলের মেনস কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিনোদ শর্মা বলেন, ‘আমাদের বিষয়টি জানানো মাত্র আন্দোলন শুরু করব।’ 

[আরও পড়ুন: উদ্ধার অভিশপ্ত এএন-৩২ বিমানের যাত্রীদের দেহ, আনা হচ্ছে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে]

‘লক্ষ্য ১০০ দিন’ প্রকল্পের দু’টি ট্রেনেরই মালিকানা দিয়ে দেওয়া হবে আইআরসিটিসিকে। ট্রেন দু’টি দেওয়া হবে এমন রুটে যেখানে ব্যস্ততা কম। অথচ গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনস্থলে রয়েছে। দেশের ‘স্বর্ণ চতুর্ভুজ’ এবং তার ডায়গোনালের মধ্যেই থাকবে ট্রেনগুলি। অর্থাৎ দেশের বড় শহরগুলি স্পর্শ করবে এমন ট্রেনই দেওয়া হবে বেসরকারি হাতে। একশোর দিনের মেয়াদ শেষ হলে ফের বিজ্ঞাপন দিয়ে জানতে চাওয়া হবে, কোনও বিশেষ শাখায় ট্রেন কিনতে কোনও বেসরকারি সংস্থা আগ্রহী কিনা। ন’য়ের দশকের প্রথমে এমন বেসরকারীকরণের প্রস্তাব এসেছিল। তখন রেল বোর্ডের ট্রাফিক সদস্য ছিলেন শান্তিনারায়ণ। দেশের প্রথম শ্রেণির শিল্পপতিদের পুরো ট্রেনটি দেওয়ার প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। পুরোপুরি পারিচালনার পাশাপাশি ট্রেনে বিজ্ঞাপন দেবে সংস্থাটি। সেই পরিকল্পনা সে সময় বাতিল হলেও এখন সরাসরি বেসরকারি সংস্থার হাতে না দিয়ে আইআরসিটিসির মাধ্যমে ট্রেনকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। তাও অতি দ্রুততার সঙ্গে। ১০০ দিনের লক্ষ্যেই।

Advertisement

[আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুতে মাত্র একজন ছাত্রের জন্য ফের খুলল বন্ধ হওয়া স্কুল!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement