প্রতীকী ছবি।
সুব্রত বিশ্বাস: বদ্ধ এসি কামরায় করোনা (Coronavirus)সংক্রমণের ভয় অপেক্ষাকৃত বেশি। গোড়াতেই এমনটা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই কথা মাথায় রেখে, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশে রেলবোর্ড এসি কামরার অভ্যন্তরীণ বাতাসের চরিত্র বদলানোর নির্দেশ দিয়েছে। তারপরই কামরার ‘ফ্রেশ এয়ার ইনটেক সেটিং’ বদলানোর কাজ শুরু হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতিতে এসি কামরার বদ্ধ বাতাসে অতিরিক্ত মুক্ত বায়ু প্রয়োজন। এজন্য এসি কোচগুলির ‘রুফ মাউন্টেড এসি প্যাকেজ ইউনিট সিস্টেমে’ কিছু পরিবর্তন করা হচ্ছে।
হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান বলেন, “অতিরিক্ত তাজা বায়ু শীতল করতে সময় একটু বেশি লাগলেও তার প্রয়োজন রয়েছে। তবে এই প্রক্রিয়ার জন্য বাড়তি বিদ্যুৎ খরচ হবে। এর ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে।”
এতদিন এসি কামরার ভিতরে ঘন্টায় ছয় থেকে আটবার বায়ু প্রতিস্থাপন হত। ফলে কামরার ভিতরে সতেজ বায়ুর পরিমাণ থাকত কুড়ি শতাংশের মতো। এবার প্রতি ঘন্টায় ষোলো থেকে আঠারো বার বায়ু প্রতিস্থাপন করার ব্যবস্থা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কর্তাদের কথায়, ফ্রেশ এয়ার পরিবর্তনের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে বিদ্যুতের ব্যবহারও দশ থেকে পনেরো শতাংশ বেড়ে যাবে। যাত্রী সুরক্ষার জন্য রেলকে এই মূল্য অবশ্যই দিতে হবে। কারণ, এর ফলে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা কিছুটা কমবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী সেন্ট্রাল এসি তখনই গ্রহণীয় হবে যখন কোচের ভিতরে বায়ু পরিবর্তনের হার ঘন্টায় বারো বা তার বেশি হবে।
সম্প্রতি রাজধানী এক্সপ্রেসের পনেরোটি রুটের ত্রিশ জোড়া এসি ট্রেনে পরীক্ষামূলকভাবে বায়ু পরিবর্তনের হার ঘন্টায় ষোলো থেকে আঠারো বার করা হয়েছে। সংক্রমনের আশঙ্কায় এসি কামরাতে লিনেন দেওয়া বন্ধ হয়েছে। জানলার থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পর্দা। এজন্য এসির তাপমাত্রা বাড়িয়ে ২৩ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশ মেনে রাজধানী এক্সপ্রেসের এসির ফ্রেশ এয়ার ইনটেক সেটিং বদলে ফেলা হয়েছে। নন-এসি কোচগুলি আইসোলেশনের জন্য পাঠানো হয়েছে। মানুষের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে রেল বলে জানিয়েছেন ডিআরএম ইশাক খান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.