Advertisement
Advertisement

Breaking News

Rail

করোনা আবহে খরচ কমাতে নয়া পদক্ষেপ রেলের, ক্ষুব্ধ কর্মীরা

কর্মী সংকোচনের সংকোচনের নীতি নিয়েছে রেল, দাবি কর্মীদের।

Railways introduce new measure to curb expenditure | Sangbad Pratidin

ছবি- প্রতীকী

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:January 8, 2021 9:40 pm
  • Updated:January 8, 2021 9:48 pm  

সুব্রত বিশ্বাস: করোনা আবহে খরচে রাশ টানতে এবার নয়া পদক্ষেপ করল রেল। ব্যয় সংকোচনের জন্য এবার কর্মীদের ‘ছুটি বিক্রি’র উপর লাগাম টানল কেন্দ্রীয় সংস্থাটি।

[আরও পড়ুন: বাংলায় রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে করোনা, ফের বাড়ল দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা]

ভারতীয় রেলের তরফে জারি করা এক নির্দেশিকায় এবার বলা হয়েছে, বছরে বাধ্যতামূলকভাবে ২০টি সবেতন ছুটি নিতে হবে কর্মীদের। আর এতেই প্রবল ক্ষুব্ধ রেলকর্মীরা। এই নীতি কর্মী সংকোচনের উদ্দেশ্যেই নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়ন। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, “এটা রেলের কর্মী সংকোচনের নীতি। আমরা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছি। অন্যসময় এমনিতে ছুটি মঞ্জুর করা হয় না। এখন ছুটি বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এমনিতে বছরে পনেরোটি সবেতন পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে কুড়ি, অর্থাৎ আগের পাওনা ছুটিকেও বাৎসরিক হিসাবে ঢোকান হবে।”

Advertisement

২০টি পেড লিভ অর্থাৎ সবেতন ছুটি নিতে কর্মীদের আপত্তি কোথায়? এই প্রশ্নের উত্তরে রেল অধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই সবেতন ছুটি (এলএপি) কর্মীরা সাধারণত নেন না। ফলে জমা ছুটির জন্য কর্মীরা টাকা পেতেন। সর্বোচ্চ ৩০০ দিনের ছুটির বিপরীতে টাকা পেতেন তাঁরা। ফলে কর্মজীবনের শেষে ছুটি বিক্রি করে মোটা অর্থ আয় হত তাঁদের। তবে তিনশো’র বেশি ছুটি থাকলেও তা গ্রাহ্য হয় না। ফলে কর্মীদের বহু ছুটি নষ্ট হয়ে যায়। যদিও কর্মী সংগঠন এই তত্বে বিশ্বাসী নন। অমিত ঘোষ বলেন, “প্রতি দু’বছর অন্তর দশটি ছুটি বিক্রি করতে পারতেন কর্মীরা। শুধু একটি প্রিভিলেজ পাস জমা দিতে হত। এমন ছ’বার ছুটি বারো বছরে বিক্রি করতে পারতেন কর্মীরা। সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে তাঁদের।”

উল্লেখ্য, আগামী তিন বছরে ১০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা রয়েছে রেলের (Indian Railways)। এরপর আবার ৩০ শতাংশ এবং সর্বমোট ৫০ শতাংশ কর্মী কমিয়ে আনতে চায় রেল। এজন্য একাধিকভাবে স্বেচ্ছাবসরের ফর্মুলা তৈরির ভাবনা রেল মন্ত্রকের। ৫৫ বছর বয়স ও ৩৩ বছর কর্মজীবন অতিবাহিত হয়েছে, এমন কর্মীদের স্বেচ্ছাবসর দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া কার্যকরী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই সময়ের মধ্যে রেলে যোগ দেওয়া কর্মীদের কর্মদক্ষতা যাচাই শুরু হয়েছে। কর্মজীবনে সক্রিয়তা, ভিজিল্যান্স কেস আছে কি না, ছুটি নেওয়ার রেওয়াজ থেকে শুরু করে একাধিক বিষয় খতিয়ে দেখছেন শীর্ষ আধিকারিকরা।

[আরও পড়ুন: চিকিৎসার সামর্থ্য নেই, আবেদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হাতে পেলেন ক্ষেতমজুর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement