সুব্রত বিশ্বাস: করোনা মহামারীর আবহে দেশে দুধের জোগান বজায় রাখতে নয়া পদক্ষেপ করল রেল। জোগানে ঘাটতি হতে না দেওয়ার লক্ষ্যে এবার মিল্ক ট্যাংক ভ্যানগুলির আধুনিকীকরণ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এবার ৪৪ হাজার ৬৬০ লিটার ক্ষমতা সম্পন্ন এই ট্যাংক নিয়ে ১১০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারবে ট্রেন। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সুষম খাদ্যের চাহিদা বাড়ায় দেশে দুধের বাড়তি জোগানের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে রেল মিল্ক ট্যাংক ভ্যানগুলিকে আরও আধুনিক করেছে। নতুন এই ট্যাংক আগের ট্যাংকের থেকে বারো শতাংশ বেশি দুধ বহন করতে পারবে। স্টেনলেস স্টিল নির্মিত আধুনিক পরিকাঠামো যুক্ত এই মিল্ক ভ্যান দ্রুততার সঙ্গে দুধ যোগান দিতে পারবে।
লকডাউনের মধ্যে জরুরি পরিষেবা দিতে রেল পণ্য পরিবহনের জন্য মালগাড়ি ও পার্সেল ভ্যান চালায়। গত ২৪ মার্চ থেকে ২২ মে পর্যন্ত রেল ২৩.২ লক্ষ ওয়াগন চালিয়েছে বলে রেলবোর্ড সূত্রে বলা হয়েছে। যার মধ্যে ১৩. ৫ লক্ষ ওয়াগন জরুরি পরিষেবার যুক্ত ছিল। যার অধিকাংশ দুধ, খাদ্য শস্য, নুন, চিনি, ভোজ্য তেল প্রভৃতি। আগামী দিনে পরিষেবা দ্রুততার সঙ্গে কিভাবে বাড়ানো যায় তার চেষ্টা চালাচ্ছে রেল। সংকটময় পরিস্থিতিতে চলতে রেল নানাবিধ পরিকল্পনা নিয়েছে। মূল দায়িত্ব পরিবহন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো। প্রথম পদক্ষেপ মিল্ক ট্যাংকের উন্নয়ন। এছাড়াও কঠিন সময়ে ১.২ লক্ষ পিপিই, ১.৪ লক্ষ লিটার স্যানিটাইজার ও ২০ লক্ষ রিইউজেবল মাস্ক তৈরি করেছে।
উল্লেখ্য, লকডাউন চলাকালীন বিগত দু’মাসে করোনার ত্রাসকে সরিয়ে মানুষজনের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বণ্টনের জন্য রেল ‘অন্নপূর্ণা ট্রেন’ চালিয়েছে। খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ‘অন্নপূর্ণা’ মূলত পাঞ্জাব থেকে পৌঁছেছে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, গোয়া, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড ও অসমে। সব মিলিয়ে করোনা আবহে দেশবাসীর কাছে খাদ্য পৌঁছে দিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে রেলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.