Advertisement
Advertisement

Breaking News

পরিযায়ী

শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে ৮০ জন পরিযায়ীর মৃত্যু, কেন্দ্রের চিন্তা বাড়াচ্ছে আরপিএফের তথ্য

দায় এড়াতে মরিয়া রেলমন্ত্রক।

Railway Protection Force reports 80 deaths on Shramik trains
Published by: Paramita Paul
  • Posted:May 30, 2020 9:59 am
  • Updated:May 30, 2020 11:00 am  

সংবাদ প্র্তিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাদের ঘরে ফেরাতে ১ মে থেকে বিশেষ ট্রেন পরিষেবা চালু করেছে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু তাতেও বিপত্তি এড়ানো যাচ্ছে কি? নিত্যদিন ট্রেনের কামরা থেকে উদ্ধার হচ্ছে শ্রমিকদের দেহ। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ৯ মে থেকে ২৭ মে পর্যন্ত শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১ মে থেকে ৮ মে-র পর্যন্ত তথ্য মেলেনি।  যদিও এ বিষয়ে রেল মন্ত্রকের তরফে সরকারিভাবে কিছুই জানানো হয়নি। বরং রোগব্যাধি নিয়ে এই ট্রেনে যাত্রী করতে নিষেধ করেছে রেল মন্ত্রক।  

প্রসঙ্গত, ১ মে থেকে দেশে শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। চলতি মাসে লক্ষাধিক ট্রেন চলাচল করেছে। আর তাতে প্রায় ৫০ লক্ষ শ্রমিককে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে সেই ট্রেনে একাধিক অব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। কখনও জল-খাবার না দেওয়ার অভিযোগ। আবার কখনও ভুল গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়ার অভিযোগ। এমনকী, সামাজিক দূরত্ব বিধিকে শিকেয় তুলে সেই ট্রেনে গাদাগাদি করে পরিযায়ীদের পাঠানো হচ্ছে বলে সরব হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন পরিস্থিতিতে ট্রেনের শৌচাগার, কামরা থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের দেহ উদ্ধার হয়েছে। যা রেল মন্ত্রকের চাপ বাড়িয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন : লকডাউনে দুর্ভোগে পরিযায়ী শ্রমিকরা, পাশে দাঁড়াতে সরাসরি অর্থ সাহায্যের ভাবনা কেন্দ্রের]

রেলের তরফে সরকারি ভাবে ট্রেনে যাত্রাকালীন ৮ জন শ্রমিকের মৃত্যুর কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের দাবি, আরপিএফ সূত্রের খবর অনুযায়ী ৯ মে থেকে ২৭ মে পর্যন্ত শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে আদপে ৮০ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তথ্য বলছে, এর মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে ১৮ জন, উত্তর-মধ্য রেলওয়েতে ১৯ জন ও পূর্ব উপকূলীয় বিভাগের ট্রেনে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নর্দান রেলওয়ের ট্রেনে যাত্রাকালীন আরও ১০ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বাকি ২০ জন অন্যান্য ট্রেনে মারা গিয়েছেন।

[আরও পড়ুন : দ্বিতীয় দফায় মোদি সরকার: ঐতিহাসিক, সাহসী ও রূপান্তরকারী সংস্কারের একটি বছর]

যদিও এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেননি রেলবোর্ডের চেয়্যারম্যান ভিকে যাদব। তাঁর কথায়, “যে কোনও মৃত্যুই শোকের। তবে তার দায় রেলের উপর চাপিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। স্থানীয় স্তরে মৃত্যুর তদন্ত করা হচ্ছে। সব মৃত্যুই যে খাবার না পেয়ে হয়েছে, তা বলা যায় না।” তবে শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে একের পর এক শ্রমিকের মৃত্যু যে কেন্দ্রের রক্তচাপ বাড়াবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement