স্টাফ রিপোর্টার: ট্রেন ও স্টেশনে মিনারেল ওয়াটারের বোতলে সাধারণ জল ভরে বিক্রি করার অপরাধে ৪ প্যান্ট্রি কার ম্যানেজার-সহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হল ৮০০জনকে। এদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বুধবার রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতেই ভারতীয় রেলের তরফে দু’দিন ধরে প্রায় ৩০০ জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৫০ হাজার এরকম নকল জলের বোতল।
রাজধানী, দুরন্তের মতো ট্রেনগুলিতে ‘রেল নীর’ দেওয়া হলেও অন্য ট্রেনের যাত্রীরা যাত্রাপথে যে সব জলের বোতল কেনেন, তা অপরিশোধিত কলের জল। মালদহ স্টেশনের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই সেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়। বেআইনি জল বিক্রি চক্রের পর্দাফাঁস হয়। ভিডিওটির ভিত্তিতেই দেশজুড়ে নকল জলের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় রেল। পাশাপাশি, মালদহ স্টেশনে প্রকাশ্যে এই কাজ চালানোর পিছনে কাদের মদত রয়েছে,তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন কর্তারা। বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন ওঠে আরপিএফ কর্তাদের উদাসীনতা নিয়েও।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রেল বোর্ড কর্তাদের একাংশ বলেন, স্টেশন ও ট্রেনে এই অনুমোদনহীন জল বিক্রিতে যুক্ত এক শ্রেণির রেলকর্মীরাই। তাঁদের প্রকাশ্য মদতে হকাররা ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মে এই জল বিক্রি করে। যাত্রীরা এনিয়ে বারবার অভিযোগ করেছেন রেল কর্তৃপক্ষের কাছে। সাময়িক ব্যবস্থাও নেওয়া হয় কিন্তু স্থায়ীভাবে তা কার্যকর হয় না। ফলে নিম্নমানের পানীয় জলই বোতলবন্দি করে দেদার বিক্রি করা হয় বিভিন্ন ট্রেনে।
[আরও পড়ুন: বাইক কেনার টাকা দিতে অস্বীকার, মাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে আটক ছেলে]
যাত্রীদের পরিশোধিত পানীয় জল যাতে দেওয়া যায় সেজন্য আইআরসিটিসির নিজস্ব পানীয় জল প্রকল্প থেকে ‘রেল নীর’ যাত্রীদের দেওয়া হয়। সম্প্রতি এই রেল নীরের জোগান কমে যাওয়ার ফলেই বিভিন্ন অননুমোদিত সংস্থা তাদের জলের বোতল স্টেশনে বিক্রি করতে শুরু করে। অভিযোগ, সেই সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে জল বিক্রি করে যাত্রীদের কাছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.