সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্তারপুর করিডোরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাঞ্জাবের মন্ত্রী তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোৎ সিং সিধু। কিন্তু আমন্ত্রণ পেয়েও যাননি বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দার সিং। তাঁদের বক্তব্য, পাকিস্তানকে আগে সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বন্ধ করতে হবে। শুধু তাই নয়, সিধুকে পাকিস্তানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বিবেচনা করতেও বলেন অমরিন্দার। অনুরোধ না রাখায় দলীয় সতীর্থকে কটাক্ষ করেছিলেন ‘ক্যাপ্টেন’। দেশে ফিরে এবার তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন সিধু। তাঁর পালটা কটাক্ষ, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীই তাঁকে পাক সফরে পাঠিয়েছেন। তিনিই সিধুর ‘ক্যাপ্টেন’। সেনাবাহিনীর প্রাক্তন ‘ক্যাপ্টেন’ অমরিন্দার নন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, অমরিন্দারের কথায় গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করছেন না। সিধুর কটাক্ষে পাঞ্জাবে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে ।
[সোদপুর স্টেশনে মাওবাদী পোস্টার, এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য]
এর আগেই পাকিস্তানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সিধু। ফের তাঁর পাক-যাত্রা নিয়ে বিতর্ক হবে বুঝে সফরে না যেতে পরামর্শ দিয়েছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাঁর কথায় সিধু কান দেননি। শুক্রবার তেলেঙ্গানায় এক সাংবাদিক বৈঠকে সিধুর কটাক্ষ, রাহুল শুধু তাঁর নন, কংগ্রেসের সমস্ত নেতারই ‘ক্যাপ্টেন’। অমরিন্দার সিং সেনা-র প্রাক্তন ‘ক্যাপ্টেন’। রাহুল ক্যাপ্টেনের ক্যাপ্টেন। পাকিস্তান সফর তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত। এবং রাহুলের সম্মতি নিয়েই সেখানে গিয়েছিলেন। এখানেই না থেমে সিধু জানান, আরও অন্তত ২০ জন কংগ্রেসের উচ্চপদস্থ নেতা তাঁকে পাকিস্তান যেতে উৎসাহিত করেছেন। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফেও তাঁর সফরে উৎসাহ পেয়েছেন। তবে কিছুটা সুর নরম করে সিধু এও জানান যে, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পিতৃতুল্য। তাঁর অনুরোধ আসার আগেই তিনি পাক আমন্ত্রণে সম্মতি দিয়ে ফেলেছিলেন। তাই সফর বাতিল করা সম্ভব ছিল না।
তবে সিধুর এই সফর নিয়েও কম জলঘোলা হচ্ছে না। কারণ, সন্ত্রাসের একাধিক ঘটনা সত্ত্বেও পাক ভূখণ্ডে দাঁড়িয়ে সিধু ভূয়সী প্রশংসা করেন ইমরানের। পাক সফর নিয়ে ক্যাপ্টেন অমরিন্দার সিং প্রকাশ্যেই তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য সিধুর সমালোচনা করেছেন। সরব হয়েছেন বিরোধীরাও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কৌর বাদল থেকে শুরু করে বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী, তোপ দেগেছেন অনেকেই। বিশেষত, খলিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা গোপাল চাওলার সঙ্গে তাঁর ছবি প্রকাশ্যে আসার পর স্বামীর দাবি, অবিলম্বে সিধুকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করুক জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএ)। সিধুর দাবি, তিনি গোপাল চাওলাকে চেনেন না। তাহলে তিনি খালিস্তান গড়ার দাবির কেন প্রকাশ্যে নিন্দা করছেন না, প্রশ্ন তুলেছেন স্বামী। সিধুকে ‘পাকিস্তানের এজেন্ট’ বলে আক্রমণ করেছেন হরসিমরত কৌর। এ বিষয়ে রাহুল গান্ধীর অবস্থান স্পষ্ট করা উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
[দক্ষিণ চিন সাগরে মার্কিন রণতরী, পালটা নৌবহর পাঠাল বেজিং]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.