Advertisement
Advertisement

মৃত্যুফাঁদে আটকে ১৫ শ্রমিক, রাজনৈতিক তরজায় মগ্ন মোদি-রাহুল

গোধরা থেকে, শিখ দাঙ্গা যেন রাজনেতাদের রসদ৷

Rahul-Modi on Meghalaya mine tragedy
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:December 27, 2018 11:35 am
  • Updated:December 27, 2018 11:35 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘একজনের মৃত্যু দুঃখের, কিন্তু দশ লক্ষের পরিসংখ্যান মাত্র’৷ সোভিয়েত একনায়ক স্তালিনের এই উক্তি যেন ভারতীয় রাজনীতির সারবত্তা৷ গোধরা থেকে, শিখ দাঙ্গা যেন রাজনেতাদের রসদ৷ মৃত্যুর ইন্ধনে দৌড়ায় রাজনীতির গাড়ি৷ এবার মেঘালয়ের একটি খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের নিয়ে তুঙ্গে তরজা৷ এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী৷                 

মেঘালয়ের কয়লাখনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে কেন্দ্রের ‘উদাসীনতা’র অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে কংগ্রেস। বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে রাহুল টুইটারে লিখেছেন, “দু’সপ্তাহ ধরে জলমগ্ন খনিতে আটকে ১৫ জন শ্রমিক। তাঁরা হাওয়া-বাতাস পাচ্ছেন না। সেদিকে ভ্রূক্ষেপ নেই প্রধানমন্ত্রীর। তিনি বগিবিল ব্রিজ নিয়েই ব্যস্ত। ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে শুধু পোজ দিয়ে চলেছেন। এখনও পর্যন্ত শক্তিশালী পাম্প জোগাড় করে উঠতে পারল না তাঁর সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আরজি, দয়া করে ওই শ্রমিকদের বাঁচান।” তাৎপর্যপূর্ণভাবে, নিজে ঘটনাস্থল একবারও পরিদর্শনে যাননি রাহুল৷ মোদির বগিবিল উদ্বোধনে যেন তাঁর হুঁশ ফিরল৷ একইভাবে অসমে গেলেও মেঘালয়ে গিয়ে উদ্ধারকাজ পরিদর্শনের সময় হল না প্রধানমন্ত্রীর৷ সূত্রের খবর, যে খনিটিতে শ্রমিকরা আটকে রয়েছেন সেটি এক কংগ্রেস বিধায়কের এলাকায়৷ এছাড়াও ওই খনি মালিকের সঙ্গে দহরম মহরম রয়েছে দুই দলেরই৷ সব মিলিয়ে শ্রমিকদের প্রাণের চাইতেও রাজনীতি বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে দুই শিবিরে৷  

Advertisement

১৩ ডিসেম্বর পূর্ব জয়ন্তিয়া পার্বত্য জেলার একটি বেআইনি খনি থেকে কয়লা তুলতে নেমেছিলেন জনা কুড়ি শ্রমিক। ৩৭০ ফুট গভীর সঙ্কীর্ণ গুহা বেয়ে একে একে নেমে যান তাঁরা। কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু করেন। কিন্তু বিপত্তি বাধে কিছুক্ষণ পর, যখন শ্রমিকদের মধ্যে একজন ভুল করে গুহার দেওয়ালে গর্ত খুঁড়ে ফেলেন। তার জেরে পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদীর জল তীব্র বেগে ঢুকে পড়ে গুহার মধ্যে। বিপদ বুঝে তড়িঘড়ি গুহার মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন পাঁচজন শ্রমিক। কিন্তু বাকিরা জলস্তর পেরিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসতে পারেননি। ঘোর উদ্বেগ নিয়ে দিন কাটছে খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের পরিবারের লোকজনদের। ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এই নিয়ে সরব হলেও এখনও পর্যন্ত ঘটনাস্থলে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী। পরিস্থিতি দেখতে যাননি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাও।

উল্লেখ্য, খনিজ সমৃদ্ধ হলেও মেঘালয়ে খনন নিষিদ্ধ। তবু প্রশাসনের কঠোর নজরদারি এড়িয়ে সেখানে অবৈধ ও অসুরক্ষিত খনন চলে। যে খনিতে দুর্ঘটনা ঘটেছে এটি তেমনই একটি বেআইনি খনি। সূত্রের খবর, এই খনির মালিক এলাকার ত্রাস। তাই দুর্ঘটনার বিপদ বুঝেও এলকায় খবরটি চেপে রাখার চেষ্টা হয়। পরে খবর পেয়ে পৌঁছায় পুলিশ। আসে জেলা প্রশাসন। খবর যায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কাছেও। গুহার মধ্যে তখন জলস্তর ৭০ ফুট পর্যন্ত উঠেছে। ২৫ হর্সপাওয়ারের দু’টি পাম্পের সাহায্যে জল বের করার চেষ্টা চালান তাঁরা। তাতে অবশ্য বিশেষ লাভ হয়নি।

[সাংবাদিককে প্রকাশ্যে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার হুমকি, বিতর্কে অসমের নেতা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement