সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটের পর রাজ্যে রাজ্যে বিপত্তিতে কংগ্রেস। তেলেঙ্গানায় ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের বিধায়কদল টিআরএসের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। পাঞ্জাবে সিধু আর অমরিন্দার সিংয়ের দ্বন্দ্ব চরমে। মহারাষ্ট্রে দশজন বিধায়ক দল ছাড়ার মুখে। ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন উত্তরপ্রদেশ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজ বব্বর ও ওড়িশা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নিরঞ্জন পটনায়েক। এক কথায় বেশিরভাগ রাজ্যেই ভাঙছে কংগ্রেস। অথচ, এই পরিস্থিতিতেও হেলদোল নেই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর। লোকসভা নির্বাচনে হারের পর কার্যত আশাহত রাহুল, দলের কোনও কাজই দেখছেন না সেভাবে। দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে গুঞ্জন, রাহুলের এই গা’ছাড়া মানসিকতার জেরেই রাজ্যে রাজ্যে ভুগতে হচ্ছে কংগ্রেসকে। কংগ্রেস সভাপতি হস্তক্ষেপ করলেই অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে। কিন্তু সেসব না করে রাহুল অনড় পদত্যাগের সিদ্ধান্তে।
দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি বলছেন, “রাহুলকে খুব শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এটা দলের দায়িত্ব ছাড়ার সঠিক সময় নয়। রাহুলের মনে রাখা উচিত ১৯৭৭-এ ইন্দিরা গান্ধীও একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন। কিন্তু, সেই পরিস্থিতিতেও তিনি কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন। রাহুলেরও এখন তাই করা উচিত। এখনই ওঁর উচিত দায়িত্ব নেওয়া। আর রাজ্যগুলিতে যে সমস্যা হচ্ছে, সেসব সমস্যা মিটিয়ে ফেলা।”
মইলির মতে, এখন পদত্যাগ করাটা রাহুলের কাছে কোনও বিকল্পই নয়। তিনি বলছেন, প্রথম কাজ দলের দায়িত্ব নেওয়া। সমস্যা সমাধান করা। মুখে বলছেন, “আমি বলছি না যে এটাই একমাত্র বিকল্প। তবে, আমার মতে ওঁর আগে দায়িত্ব নিয়ে সমস্যা মেটানো উচিত। তারপর ভাবা উচিত নিজের ভবিষ্যত নিয়ে। রাহুল যদি ছাড়তে চাই, তাহলে বিকল্প মুখও রাহুলকেই খুঁজতে হবে।” একা মইলি নন, অন্য অনেক কংগ্রেস নেতাই মনে করছেন রাহুলের পদত্যাগ নিয়ে অনিশ্চয়তাই রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেসের খারাপ ফলের কারণ। এবছরের শেষের দিকেই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তাতে ভাল ফল করতে হলে রাহুলকে ঘুরে দাঁড়াতেই হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.