সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনে যে পাকিস্তান ও চিনের যোগ রয়েছে সে তথ্য উঠে এসেছে নানা মহল থেকে। এবার সর্বদল বৈঠকে সরাসরি বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার সংসদে সর্বদল বৈঠকে তিনি বিদেশমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলেন বাংলাদেশের ঘটনার পিছনে কি পাকিস্তানের হাত রয়েছে?
হাসিনার দেশছাড়ার পর প্রতিবেশী বাংলাদেশের হিংসাত্মক পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ভারত সরকার। গোটা পরিস্থিতি পর্যালোচনার পাশাপাশি ভারতের আগামী পদক্ষেপ ঠিক করতে মঙ্গলবার সর্বদল বৈঠক ডেকেছিল কেন্দ্র। যেখানে মূল আলোচ্য বিষয় ছিল বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের পরবর্তী পদক্ষেপ এবং সেখানে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধার। এদিন আলোচনার শুরুতেই বিদেশমন্ত্রীর কাছে রাহুল গান্ধী জানতে চান এই ঘটনার পিছনে বাইরের কোনও শক্তির হাত রয়েছে কি না? পাশাপাশি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাহুল। বিদেশমন্ত্রীর কাছে জানতে চান বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের কূটনৈতিক অবস্থান কী হতে চলেছে? উত্তরে জয়শংকর বলেন, “এখনই এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রয়েছে আমাদের। তবে এক পাক রাষ্ট্রদূত সোশাল মিডিয়ায় নিজের প্রোফাইলের ছবি বদল করে সেখানকার হিংসাকে সমর্থন জানিয়েছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকাতেই রয়েছেন। তবে এখনই তাড়াহুড়ো করে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না।”
পাশাপাশি জয়শংকর আরও বলেন, “আমরা বাংলাদেশ সেনার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি। বর্তমানে সেখানে ২০ হাজার ভারতীয় রয়েছেন। যার বেশিরভাগই পড়ুয়া। এদের অশান্ত বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে আনাই এখন সরকারের মূল লক্ষ্য।” এছাড়াও বিরোধী শিবিরকে সরকারের তরফে জানানো হয়, বর্তমানে ভারতে থাকা শেখ হাসিনার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে উদ্যোগী কেন্দ্র। গোটা পরিস্থিতিতে তাঁকে কিছুটা সময় দিতে চায় সরকার। বিরোধী শিবির অবশ্য এই বিষয়ে সরকারের সঙ্গে একমত। এমনকী সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়েও বিরোধী শিবিরের সঙ্গে কথা হয় সরকারের।
তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদল বৈঠকে সরাসরি পাক যোগের কথা স্বীকার না করলেও সে সম্ভাবনা যে থাকতে পারে, তা অস্বীকার করেননি বিদেশমন্ত্রী। সম্প্রতি এক গোয়েন্দা রিপোর্টেও উঠে এসেছে তেমন দাবি। জানা যাচ্ছে, ছাত্রদের সামনে রেখে পুরো পরিকল্পনা সাজিয়েছে পাকিস্তান। এমনকী এই ঘটনায় যোগ রয়েছে চিনেরও। উদ্দেশ্য ঢাকায় ভারত বিরোধী পুতুল সরকার বসিয়ে নিজেদের স্বার্থে বাংলাদেশকে পরিচালিত করা। এই কাজের জন্য চলতি বছরের শুরুতেই ব্যাপক আর্থিক সাহায্য পেয়েছিল আইএসআই সমর্থিত জামাত-ই-ইসলামি। এই টাকার একটি বড় অংশ এসেছিল পাকিস্তানে পরিচালিত চিনা সংস্থাগুলির থেকে বা সরাসরি বেজিং থেকে। এমনকী ইসলামি ছাত্র সংগঠনের বেশ কিছু সদস্যকে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে ট্রেনিংও দেওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.