সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘তিসরি বার মোদি সরকার, আব কি বার ৪০০ পার।’ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এটাই বিজেপি (BJP) তথা এনডিএ জোটের স্লোগান। যদিও রামলীলা ময়দানে ইন্ডিয়া জোটের প্রতিবাদ সমাবেশে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) দাবি করলেন, ‘ম্যাচ-ফিক্সিং’ ছাড়া ৪০০ পার সম্ভব নয়। কংগ্রেস (Congress) নেতার ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য, চারশোর বেশি আসন পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজে ‘আম্পেয়ার’ পছন্দ করেছেন। ঘুরিয়ে নির্বাচন কমিশনের ‘পক্ষপাতিত্ব’ এবং বিরোধী দলগুলির উপর সিবিআই, ইডির মত কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে চাপ তৈরির প্রসঙ্গ টানেন রাহুল।
রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে ইন্ডিয়া জোটের মেগা র্যালিতে অংশ নিয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ অধিকাংশ বিরোধী দল। সেখানেই নিজের বক্তব্যে রাহুল বলেন, ‘আজ আইপিএল খেলা হচ্ছে। যেখান আম্পেয়ারদের চাপ রাখা হয়, টাকার বিনিময়ে খেলোয়াড়দের কেনা হয়, আবার অধিনায়কদের ম্যাচ জেতার জন্য হুমকি দেওয়া হয়, ক্রিকেটে এমন অবস্থাকেই ম্যাচ ফিক্সিং বলা হয়। সামনে লোকসভা ভোট। আম্পেয়ার পছন্দ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। খেলা শুরুর আগেই আমাদের খেলোয়াড়দের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’
রাহুল আরও বলেন, ‘কংগ্রেস সবচেয়ে বড় বিরোধী দল, নির্বাচনে মুখে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন বন্ধ করা হয়েছে। অথচ আমাদের প্রচার চালাতে হবে, রাজ্যগুলিতে কর্মী পাঠাতে হবে, পোস্টার লাগাতে হবে, কিন্তু সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটা কোন ধরনের নির্বাচন?’ গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করেন, ‘ইভিএম, ম্যাচ ফিক্সিং, সোশাল মিডিয়া ব্যবহার এবং সংবাদমাধ্যমকে চাপ না দিয়ে ওরা (বিজেপি) ১৮০টির বেশি আসন জিততে পারবে না।’
‘ম্যাচ ফিক্সিং’য়ের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে রাহুল বলেন, ‘গরিব ভারতবাসীর কাছ থেকে সংবিধান ছিনিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী এবং ৩-৪ জন পুঁজিবাদী ম্যাচ ফিক্সিং করছে।’ সাধারণ নাগরিকদের প্রতি কংগ্রেস নেতার আহ্বান, ‘এবারের নির্বাচন সাধারণ নয়। দেশ এবং সংবিধান বাঁচানোর নির্বাচন। আপনারা যদিও উজার করে ভোট না দেন তবে ওদের ম্যাচ ফিক্সিং সফল হবে। আর সত্যি তাই হলে সংবিধান ধ্বংস হবে। সংবিধান হল জনতার কণ্ঠ, তা ধ্বংস হলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।’ রাহুল মনে করিয়ে দেন, সম্প্রতি “একজন বিজেপি সাংসদ বলেছেনস আমরা ৪০০-র বেশি আসন পেলে সংবিধান বদলে দেব। দেশের প্রতিক্রিয়া বুঝতেই এই মন্তব্য করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.