সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা কালে মূলত টুইটারেই সক্রিয় তিনি। অথচ, সেখানেও এবার বিতর্ক। মঙ্গলবার রাতারাতি টুইটারে বেশ কয়েকজন প্রথম সারির সাংবাদিক থেকে শুরু করে দলে তাঁর ঘনিষ্ঠ বহু নেতাকর্মীকে আনফলো করে দিয়েছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে কংগ্রেসের অন্দরেই। রাহুল গান্ধী চাইছেনটা কী? বুঝে উঠতে পারছেন না অনেকেই। সুযোগ বুঝে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিজেপিও।
এমনিতে টুইটারে বরাবরই সক্রিয় রাহুল। নয় নয় করে ১ কোটি ৮৮ লক্ষ মানুষ তাঁকে ফলো করেন। তবে, এই মুহূর্তে তিনি নিজে ফলো করছেন মাত্র ২১৯ জনকে। গত তিনদিনে মোট ৫৫ জনকে আনফলো করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। এই তালিকায় রয়েছেন বরখা দত্ত (Barkha Dutt), রাজদীপ সরদেশাই (Rajdeep Sardesai), প্রতীক সিনহা-সহ কংগ্রেসের খবরাখবর রাখেন এমন বেশ কয়েকজন খ্যাতনামা সাংবাদিক। শুধু সাংবাদিকরা নন, রাহুল যাদের যাদের আনফলো করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কমেডিয়ান কুণাল কামারা (Kunal Kamara) বলিউডের সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চনও। দলের এমন কিছু কর্মীকে কংগ্রেস নেতা আনফলো করেছেন, যারা একেবারে তাঁর সঙ্গে কাজ করেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় নিখিল আল্ভার নাম। যিনি নিজেই কংগ্রেস নেতার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলি দেখাশোনা করেন। এই মুহূর্তে তিনি যাদের ফলো করেন তাঁরা সকলেই মোটামুটিভাবে দলের শীর্ষস্তরের নেতা বা কোনও প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সরকারি হ্যান্ডেল। মজার কথা হল, রাহুল টুইটারে এখনও এমন কিছু হ্যান্ডেল ফলো করেন, যারা কিনা মৃত। এগুলির মধ্যে রয়েছে আহমেদ প্যাটেল, তরুণ গগৈ, সোমেন মিত্রদের টুইটার হ্যান্ডেল। কয়েকজন বুদ্ধিজীবী এবং সেলিব্রিটিকেও এখনও ফলো করেন কংগ্রেস নেতা।
কিন্তু কেন এভাবে টুইটার অ্যাকাউন্টে ফলোয়ার সংখ্যা কমাচ্ছেন রাহুল? কংগ্রেসও (Congress) ধন্দে। দলের একাংশের যুক্তি, রাহুল গান্ধী নাকি টুইটারে স্বচ্ছতা অভিযানে নেমেছেন। তাই একে একে নামী নামী সাংবাদিক থেকে শুরু করে ঘনিষ্ঠ কর্মীদের আনফলো করছেন। পরে আবার এদের কাউকে কাউকে ফলো করা হবে। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন হল, তাহলে মৃত নেতাদের এখনও কেন ফলো করছেন কংগ্রেস নেতা? তার জবাব মিলছে না। তবে, কংগ্রেসের অন্দরের খবর, এবার সোশ্যাল মিডিয়াতেও খুব বেছে বেছে পদক্ষেপ করবেন রাহুল। সেইসব লোকজনদেরই ফলো করবেন, যারা তাঁর রাজনৈতিক গুরুত্ব বাড়াতে পারে। বা রাজনৈতিকভাবে তাঁর প্রসার বাড়াতে পারে। রাহুলের বোন প্রিয়াঙ্কাও (Priyanka Gandhi) নাকি ব্যাপারটা জানেন। তাছাড়া যাদের সঙ্গে সবসময় একসঙ্গে কাজ করছেন তাদের ফলো করার প্রয়োজনীয়তাই বা কী? বলছেন কংগ্রেস নেতারা। আবার দলের একাংশের বক্তব্য, রাহুলের এই ‘আনফলো’ করার ব্যাপারটি একেবারেই এত সহজ নয়। কারণ, তিনি দলের কাকে ফলো করেন না করেন, সেটা তাঁর জন্য বড় ব্যাপার না হলেও, দলের কর্মীদের জন্য বড় ব্যাপার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.