Advertisement
Advertisement

Breaking News

Rahul Gandhi

মোদির পর রাহুল, এবার ভোটপ্রচারে জম্মু ও কাশ্মীরে আসছেন কংগ্রেস নেতা

২৫ সেপ্টেম্বর উপত্যকায় দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ।

Rahul Gandhi will attend election campaign in Kashmir
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:September 19, 2024 7:35 pm
  • Updated:September 19, 2024 9:00 pm  

সোমনাথ রায়, শ্রীনগর: ৩৭০ ধারার অবলুপ্তির পর প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচন জম্মু ও কাশ্মীরে। বুধবার হয়ে গিয়েছে প্রথম দফার ভোট। এবার উত্তেজনার পারদ চড়ছে ২৫ সেপ্টেম্বরের ভোটগ্রহণ নিয়ে। ইতিমধ্যেই প্রচারে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার জানা গেল, ২৩ সেপ্টেম্বর জম্মু ও কাশ্মীরে ভোটপ্রচারে আসছেন রাহুল গান্ধী। এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক গুলাম আহমেদ মির একথা জানিয়েছেন।

এদিকে জানা গিয়েছে, ২৩ তারিখ রাহুলের আসা নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে ছিল স্থানীয় কংগ্রেস প্রশাসন। কেননা ওইদিনই প্রচারের শেষদিন। ফলে বিকেলের মধ্যেই সেরে ফেলতে হবে যাবতীয় প্রচার। সাধারণত, এই শেষবেলায় স্থানীয় নেতৃত্ব বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ভোটপ্রচারের ‘ফাইনাল টাচ’ দেন। কিন্তু রাহুল চলে এলে তা সম্ভব হবে না। তাই একদিন আগে অর্থাৎ ২২ তারিখে উপত্যকায় ভোটপ্রচারে আসুন রাহুল, এমনটাই দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেস নেতার ২২ সেপ্টেম্বর অন্য কাজ থাকায় ২৩ তারিখের আগে তিনি আসতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে তাঁর জনসভা সকাল সকাল করতে হবে বলে কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে আর্জিও জানিয়েছে স্থানীয় নেতৃত্ব। আপাতত জানা যাচ্ছে, ওইদিন সকালের দিকে শ্রীনগরে সভা করে রাহুল বিকেলের সভা করতে পারেন পুঞ্চে। সম্ভাবনা তেমনই।

Advertisement

এদিকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর থেকে শ্রীনগরে কোনও বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তাই রাহুলকে জনসভা করতে দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতারা। যদিও সেক্ষেত্রে তাঁদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী মোদি কিন্তু এখানে প্রচারেই এসেছিলেন। কোনও প্রশাসনিক বা সরকারি কাজে তিনি আসেননি। তিনি যদি অনুমতি পান, তাহলে রাহুল পাবেন না কেন। লোকসভায় বিরোধী দলনেতার জনসভা নিয়ে প্রশাসনিক তরফে কোনওরকম আপত্তি জানানো হলে এমনই যুক্তি দিয়ে বিরোধিতা করবে হাত শিবির।

প্রসঙ্গত, শেষবার জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল ২০১৪ সালে। তখন অবশ্য উপত্যকা ছিল পূর্ণ রাজ্য। কিন্তু ২০১৯ সালের আগস্টে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। এর পর থেকেই এটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়। অবশেষে সেখানে বিধানসভা নির্বাচন। স্বাভাবিক ভাবেই উত্তেজনা তুঙ্গে। প্রথম দফার ভোটগ্রহণের হার রীতিমতো আশাব্যাঞ্জক। দ্বিতীয় দফাতেও সেই ট্রেন্ড বজায় থাকে কিনা সেটাই দেখার। আপাতত প্রচারে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না কোনও পক্ষই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement