সাংবাদিক বৈঠকে সঞ্জয় রাউত, রাহুল গান্ধী ও সুপ্রিয়া সুলে।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ। তার আগেই এবার গত বছর সম্পন্ন হওয়া মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। মহারাষ্ট্রে বিজেপির জয়ের নেপথ্যে ভোটার তালিকা সংশোধনের হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করলেন কংগ্রেস সাংসদ। রাহুলের অভিযোগ, মহারাষ্ট্র মোট প্রাপ্তবয়স্ক ভোটারের চেয়ে বেশি ভোট পড়েছে ভোটবাক্সে।
মহারাষ্ট্র নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে বিরাট ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়ে শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করেন রাহুল গান্ধী। এখানে উপস্থিত ছিলেন শিবসেনা (উদ্ধব) সাংসদ সঞ্জয় রাউত, এনসিপি (শরদ) নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে। সেখানে রাহুল বলেন, ২০১৯ সালের বিধানসভা ও ২০২৪ সালের লোকসভা এই ৫ বছরের মধ্যে ৩২ লক্ষ নয়া ভোটারকে মহারাষ্ট্রে যুক্ত করা হয়েছিল। এদিকে ২০২৪-এর লোকসভা ও বিধানসভা মাঝে যে ৫ মাসের ব্যবধান ছিল সেই সময়ের মধ্যে ৩৯ লক্ষ নয়া ভোটারকে ভোটার তালিকায় যুক্ত করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে রাহুল গান্ধী প্রশ্ন তোলেন, মাত্র ৫ মাসের ব্যবধানে কীভাবে ৫ বছরের বেশি ভোটার যুক্ত হল একটি রাজ্যে? বিরাট কারচুপির দাবি করে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত বিশদ তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে চেয়েছেন রাহুল। তার অভিযোগ, এই বিষয়ে কমিশনের কাছে তথ্য চাইলেও কমিশন এখনও এর জবাব দেয়নি।
Our questions to the Election Commission on the Maharashtra elections:
– Why did EC add more voters in Maharashtra in 5 months than it did in 5 years?
– Why were there more registered voters in VS 2024 than the entire adult population of Maharashtra?
– One example among many… pic.twitter.com/K7fOWdnXmV
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) February 7, 2025
রাহুল আরও বলেন, “লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের মাঝে যে ৫ মাসের ব্যবধান ছিল, সেই সময়ে ৩৯ লক্ষ নয়া ভোটারকে তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। যা হিমাচলপ্রদেশের মতো রাজ্যের মোট জনসংখ্যার সমান। মহারাষ্ট্রে প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যা ৯.৫৪ কোটি। অথচ ভোট দিয়েছেন ৯.৭ কোটি মানুষ। নির্বাচন কমিশনের উচিত এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা। এবং লোকসভা ও বিধানসভার ভোটার তালিকা করা।” এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন শিব সেনা (উদ্ধব) শিবিরের সাংসদ সঞ্জয় রাউত। তিনি বলেন, “আমাদের দেশের নির্বাচন কমিশন জীবিত থাকলেও তার আত্মার মৃত্যু হয়েছে। যদি সেটি জীবিত থাকে তবে রাহুলের প্রশ্নের জবাব দেওয়া উচিত। নাহলে বুঝব এই কমিশন বিজেপি সরকারের দাসত্ব করছে।”
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মহাজুটি ২৮৮ আসনের মধ্যে ২৩০টি আসনে জয় পায়। সেখানে বিরোধী শিবির জেতে মাত্র ৪৬টি আসনে। মুম্বই সংলগ্ন ৩৬ টি আসনের ১০টি আসন পেয়েছে উদ্ধব সেনা। কংগ্রেস মাত্র ৩টি ও সপা একটি। বিরোধী শিবিরের বিরাট ব্যর্থতায় শুরুতে অভিযোগের আঙুল উঠেছিল ইভিএমের দিকে। এবার হারের নেপথ্যে আরও বড় ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত প্রকাশ্যে এল। প্রসঙ্গত, দিল্লির নির্বাচনের আগেও একই অভিযোগ তুলেছিল আপ। অভিযোগ করা হয় বাইরে থেকে লোকজন তাঁদের দিল্লির ভোটার করা হচ্ছে। এবং স্থানীয়দের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.