Advertisement
Advertisement
Rahul Gandhi

ভূমিধসে মৃত্যুপুরী ওয়ানড়, ‘জাতীয় বিপর্যয়’ ঘোষণার দাবি রাহুলের

বেসরকারি হিসেব বলছে, ওয়ানড়ে মৃতের সংখ্যা ৪০০ পেরিয়ে গিয়েছে।

Rahul Gandhi urges Centre to declare Wayanad landslides a national disaster
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:August 7, 2024 6:29 pm
  • Updated:August 7, 2024 6:29 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যরাতে হঠাৎ নেমে এসেছে ভয়ংকর মৃত্যু। কেরলের ওয়ানড়ে ভয়াবহ ভূমিধস প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ২২৪ জনের। যদিও বেসরকারি হিসেব বলছে মৃতের সংখ্যা ৪০০ পেরিয়ে গিয়েছে। এত বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় অতীতে কবে ঘটেছে মনে করতে পারছে না দেশ। এই পরিস্থিতিতে ওয়ানড়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার দাবি তুললেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।

বুধবার সংসদে জিরো আওয়ারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘ওয়ানড়ে ভয়াবহ ভূমিধসের পর আমি নিজে সেখানে গিয়ে গোটা ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেছি। যে যে জায়গায় ভূমিধস নেমেছিল তার প্রতিটি জায়গায় গিয়ে ঘটনা চাক্ষুস করেছি আমি। প্রায় ২ কিলোমিটার পাহাড়ি এলাকা ধসে গিয়েছে। নদী, পাথর ও কাদায় ভরে গিয়েছে গোটা এলাকা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে গোটা পরিবার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন মাত্র একজন বেঁচে গিয়েছেন। যে বেঁচে গিয়েছে সে হয়ত নাবালক।’ এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে যারা সেই সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তাঁদের ধন্যবাদও জানান রাহুল। এবং সংসদে তিনি আবেদন জানান, ওয়ানড়ে যে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে তাকে জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করা হোক।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘ভারতেও বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি হতে পারে’, সলমন খুরশিদের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়]

এদিন সংসদে দাঁড়িয়ে সরকারের কাছে মূলত ৩টি আবেদন জানান রাহুল গান্ধী। প্রথমত, এই দুর্ঘটনার জেরে শত শত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুক সরকার। দ্বিতীয়ত, যারা যারা দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের শোকাহত পরিবারগুলির জন্য আর্থিক সহায়তার পরিমাণ বাড়ানো হোক। এবং তৃতীয়ত, ওয়ানড় ভূমিধসকে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ ঘোষণা করুক সরকার।

[আরও পড়ুন: ‘বন্ধু’ উদ্ধবের ডাকে সাড়া, এবার মহারাষ্ট্রে ভোটপ্রচারে যাচ্ছেন মমতা!]

গত ৩০ জুলাই মধ্যরাতে ভয়াবহ ধস নামে ওয়ানাড়ের পাহাড়ি এলাকায়। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় গোটা এলাকা। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি উদ্ধারকাজে নামে দেশের তিন সেনা। কার্যত রাতারাতি চুরামালা ও মুন্ডাক্কাই গ্রামের মধ্যে বেইলি ব্রিজ তৈরি করে উদ্ধারকাজ শুরু করে সেনা। সরকারি মতে, মৃতের সংখ্যা ২২৪। ১৮৯ জনের দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে। ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। যদিও বেসরকারি মতে সংখ্যাটা ৪০০ পেরিয়ে গিয়েছে।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement