সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২ সপ্তাহের নাটক। অবশেষে যবনিকা পতন! কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। রাহুল গান্ধী স্বমহিমায় নিজের পদে বহাল থাকছেন। তাঁর ইস্তফা নিয়ে যাবতীয় যা জল্পনা তৈরি হয়েছিল, সবকিছুতেই ইতি টানলেন দলের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। সাফ জানিয়ে দিলেন, “রাহুল গান্ধী সভাপতি ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।”
লোকসভার ভরাডুবির পর গত ২৬ মে দলের কার্যকরী কমিটির বৈঠকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। দলের নেতারা সর্বসম্মতিক্রমে রাহুলের ইস্তফাপত্র প্রত্যাখ্যান করেন। সেসময় মনে করা হচ্ছিল, রাহুলের ইস্তফা জল্পনায় সেখানেই যবনিকা পড়বে। কিন্তু, তা হয়নি। পদত্যাগের সিদ্ধান্ত অনড় থাকেন কংগ্রেস সভাপতি। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, কংগ্রেস সভাপতি হতে হবে গান্ধী পরিবারের বাইরে থেকে কাউকে।” এরপর রীতিমতো নাটক শুরু হয় কংগ্রেসের অন্দরে। দলের নেতারা পালা করে রাহুলকে বোঝাতে থাকেন তাঁর দলের শীর্ষ পদে থাকাটা কংগ্রেসের জন্য জরুরি। এমনকী কর্মীদের মধ্যে কেউ কেউ রক্ত দিয়েও চিঠি লেখেন রাহুলকে। কমবেশি সব রাজ্য কমিটিই রাহুলকে সভাপতি পদে বহাল রাখার জন্য প্রস্তাব পাশ করায়। কিন্তু এত কিছুর পরেও নাকি সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন রাহুল। সব মিলে নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল কংগ্রেসে।
এই যাবতীয় নাটকে কার্যত যবনিকা পড়ে গেল বুধবার। এদিন দলের তথাকথিত কোর কমিটির অঘোষিত বৈঠক ছিল। বৈঠকের এজেন্ডা, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড এবং জম্মু কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা। কিন্তু, সেসবকে নেপথ্যে ফেলে রাহুলের ইস্তফা নিয়েই আলোচনা হয় বৈঠকে। এবং বৈঠক শেষে দলের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সূরজেওয়ালা জানিয়ে দিয়েছেন, রাহুলই সভাপতি থাকছেন। তবে, কংগ্রেস সূত্রের খবর নির্বাচনে ভরাডুবির জেরে তথাকথিত কোর কমিটি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। ভেঙে দেওয়া হচ্ছে নির্বাচনের জন্য গঠিত অন্য কমিটিগুলিও। সেই সঙ্গে রাহুলকে সহযোগিতা করার জন্য একাধিক কার্যকরী সভাপতিও নিয়োগ করা হতে পারে। কিন্তু, মুশকিল হল এদিনের এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন খোদ রাহুল। তাই, এই সিদ্ধান্ত আদৌ তিনি মানবেন কিনা, তা নিয়েই থাকছে সংশয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.