সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল: নোটবাতিল নিয়ে নতুন করে অস্বস্তিতে বিজেপি। একটি আরটিআইয়ের দেওয়া তথ্যে জানা যাচ্ছে নোটবাতিলের পর সবচেয়ে বেশি কালোটাকা জমা পড়েছে আমেদাবাদ জেলা সমবায় ব্যাংকে। বিমুদ্রাকরণ পরবর্তী পাঁচ দিনেই এই ব্যাঙ্ক থেকে বদল করা হয়েছে প্রায় ৭৪৫ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা। গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তির কারণ হল এই ব্যাংকটির ডিরেক্টর পদে রয়েছেন খোদ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। যে সময় নোটগুলি জমা পড়েছিল সেসময়ও ব্যাংকের ডিরেক্টর ছিলেন বিজেপি সভাপতিই। দীর্ঘদিন ধরেই ওই সমবায় ব্যাংকটির ডিরেকটর পদে রয়েছেন অমিত। এমনকী ২০০০ সালে একবার ব্যাংকটির চেয়ারম্যানও ছিলেন।
এ হেন ব্যাংকেই নোটবাতিলের সময় এত পুরনো নোট বদল হল কী করে? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, এই ধরণের ব্যাংকগুলির মাধ্যমেই সমস্ত কালো টাকা সাদা করতে সাহায্য করেছে গেরুয়া শিবির। এ প্রসঙ্গে গুজরাটের আরও একটি ব্যাংকের উদাহরণ তুলে আনছে বিরোধীরা। কারণ আমেদাবাদ সমবায় ব্যাংকের পর যে ব্যাংকে সবচেয়ে বেশি পুরনো নোট জমা পড়েছে সেটি হল রাজকোট সমবায় ব্যাংক। রাজকোট সমবায় ব্যাংকে মাত্র ৫ দিনে অর্থাৎ ২০১৬’র ৯ নভেম্বর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ৬৯৩ কোটি ১৯ লাখ টাকার পুরনো নোট জমা পড়েছে। এই ব্যাংকটির চেয়ারম্যান জয়েশভাই রোদাদিয়া আবার গুজরাটের মন্ত্রী। অর্থাৎ প্রথম এবং দ্বিতীয় দুটি স্থানে যে দুটি সমবায় ব্যাংক রয়েছে দুটিতেই সরাসরি যোগ রয়েছে বিজেপির। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত মোট ১১ টি সমবায় ব্যাংকে মোট ৩ হাজার ১১৮ কোটি টাকার নোট বাতিল করিয়েছে বিজেপি।
স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীদের আক্রমণের মুখে গেরুয়া শিবির। খোদ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী টুইট করে বিজেপি সভাপতিকে তীব্র শ্লেষে বিঁধেছেন। একটি টুইটে রাহুল লিখেছেন, ‘আপনার(অমিত শাহ) ব্যাংক পুরনো নোট বদলের প্রথম স্থান দখল করেছে, অমিত শাহজি আপনাকে অভিনন্দন। যে লক্ষ লক্ষ ভারতীয়র জীবন নোট বাতিলে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে তাঁরা সবাই আপনাকে স্যালুট করছে। ’
Congratulations Amit Shah ji , Director, Ahmedabad Dist. Cooperative Bank, on your bank winning 1st prize in the conversion of old notes to new race. 750 Cr in 5 days!
Millions of Indians whose lives were destroyed by Demonetisation, salute your achievement. #ShahZyadaKhaGaya pic.twitter.com/rf1QaGmzxV
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) June 22, 2018
নোটবাতিলের পর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল অমিত শাহর ছেলে জয় শাহর বিরুদ্ধেও। মাত্র ৬ মাসে ৫০ লক্ষ টাকার ৮০ কোটি টাকার সম্পত্তিতে পরিণত করার অভিযোগ তুলেছিল একটি সর্বভারতীয় ওয়েব পোর্টাল। এরই মধ্যে নতুন অস্ত্র উঠে এল কংগ্রেসের হাতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.