সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের মাঝে কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন একদা রাজীব গান্ধী ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা তথা রাহুল গান্ধীর রাজনৈতিক মেন্টর স্যাম পিত্রোদা। শিখ দাঙ্গার মতো গণহত্যাকে যেভাবে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন, তা নিন্দনীয়। পাঞ্জাবের ভোটের আগে এই মন্তব্য কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়াবে সন্দেহ নেই। তাই, পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে নিজে থেকেই এগিয়ে এলেন রাহুল গান্ধী। প্রকাশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের রাজনৈতিক মেন্টরকে রীতিমতো ভর্ৎসনা করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। সেই সঙ্গে স্যাম পিত্রোদাকে ক্ষমা চাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি।
৩৫ বছর পরেও শিখ দাঙ্গার কালো দাগ এখনও মুছে ফেলতে পারেনি কংগ্রেস। সেই ঘটনার জন্য ইতিমধ্যেই পাঞ্জাববাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং। ক্ষমা চেয়েছেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীও। রাহুল নিজেও এ প্রসঙ্গে ক্ষমা চেয়েছেন। এদিন আরও একবার শিখ দাঙ্গায় আক্রান্তদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেন, “এই ঘটনায় সুবিচার হওয়া দরকার। যারা শিখ দাঙ্গার জন্য দায়ী তাদের শাস্তি পেতেই হবে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং ক্ষমা চেয়েছেন, আমার মা সোনিয়া গান্ধী ক্ষমা চেয়েছেন। আমরা অনেকদিন আগেই নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি। এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক এবং এমনটা হওয়া উচিত হয়নি।”
সেই সঙ্গে স্যাম পিত্রোদাকেও তিরস্কার করেন কংগ্রেস সভাপতি। জানিয়ে দেন, ব্যক্তিগত স্তরে পিত্রোদার সঙ্গে কথা বলে তাঁকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেবেন তিনি। আরও বলেন,”স্যাম পিত্রোদা যা বলেছেন, তা অত্যন্ত অশোভন এবং সমর্থনযোগ্য নয়। এই মন্তব্যের জন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতেই হবে।” উল্লেখ্য, কংগ্রেস নেতার ‘হুয়া তো হুয়া’ মন্তব্যের পর কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শানানো শুরু করেছে বিজেপি। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, হুয়া তো হুয়া মন্তব্য কংগ্রেসের ঔদ্ধত্যের পরিচয়। এটাই ওদের চরিত্র। আসলে পাঞ্জাবের ভোটের আগে কংগ্রেস নেতার এই বেফাঁস মন্তব্যকে হাতিয়ার করতে চাইছে বিজেপি। আর সেকারণেই কংগ্রেস সভাপতির ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.