সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ খুলেই ফের বিতর্কে রাহুল গান্ধি। কর্ণাটকের ফলপ্রকাশের পর থেকেই কার্যত নিরুদ্দেশ ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি। দলের শীর্ষ নেতারা যখন জেডিএসের সঙ্গে জোট গড়ার তৎপরতা দেখাচ্ছিলেন তখনও সেভাবে প্রকাশ্যে আসতে দেখা যায়নি কংগ্রেস সভাপতিকে। আসরে নামতে হয়েছিলে মা সোনিয়া গান্ধিকে। অবশেষে বৃহস্পতিবার ইয়েদুরাপ্পা যখন শপথ নিচ্ছেন তখন মুখ খুললেন কংগ্রেস সভাপতি। আর মুখ খুলেই জড়ালেন বিতর্কে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করে বসলেন পাকিস্তানের। রাহুলের অভিযোগ ক্ষমতার লোভে সব স্বশাসিত সংস্থায় যেভাবে নিজেদের লোক ঢোকাচ্ছে আরএসএস তা একমাত্র পাকিস্তানে বা একনায়কতন্ত্রে হয়।
রাহুলের এই মন্তব্যের পরই পালটা জবাব আসে বিজেপি শিবির থেকে। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করছেন কংগ্রেস সভাপতি। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ কটাক্ষ করেছেন, এসব বলে আসলে নিজেরই গুরুত্ব কমিয়ে দিচ্ছেন কংগ্রেসের যুবরাজ। এদিন অবশ্য অন্য বিরোধী নেতাদের গলায় রাহুলের সুরেরই অনুরণন শোনা গেল। বিএসপি নেত্রী মায়াবতী অভিযোগ করেছেন কর্ণাটকে যেভাবে সরকার গড়েছে বিজেপি তা আম্বেদকরের তৈরি সংবিধানের অপমান। একই অভিযোগ করছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী তথা প্রাক্তন বিজেপি নেতা রাম জেঠমালানিও। ইতিমধ্যেই কর্ণাটকের রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নতুন করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালেই টুইটে কর্ণাটকে ইয়েদুরাপ্পার শপথগ্রহণকে অনৈতিক বলে দাবি করেছিলেন রাহুল। তাঁর দাবি, উপযুক্ত সমর্থন না থাকা সত্ত্বেও কর্ণাটকে সরকার গড়ার জন্য অযৌক্তিক গোয়ার্তুমি দেখাচ্ছে বিজেপি, এটা গণতন্ত্রের উপহাস ছাড়া কিছুই নয়। বিজেপি যখন ফাঁপা জয়ের উচ্ছ্বাসে মত্ত, তখন গোটা দেশ গণতন্ত্রের পরাজয়ের শোকে কাতর।
The BJP’s irrational insistence that it will form a Govt. in Karnataka, even though it clearly doesn’t have the numbers, is to make a mockery of our Constitution.
This morning, while the BJP celebrates its hollow victory, India will mourn the defeat of democracy.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) May 17, 2018
রাহুলের কথা মতো কাজও শুরু করে দিয়েছেন তাঁর দলের নেতারা। কর্ণাটক বিধানসভার গান্ধির মূর্তির সামনে ইতিমধ্যেই বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার নেতৃত্বে কংগ্রেস ও জেডিএস বিধায়করা ধরনায় বসেছেন। ধরনা মঞ্চে হাজির গুলাম নবী আজাদ, মল্লিকার্জুন খাড়গের মত জাতীয় স্তরের নেতারাও। সিদ্দারামাইয়ার দাবি, ধরনা মঞ্চে কংগ্রেস ও জেডিএসের ১১৮ জন বিধায়কই হাজির রয়েছেন। কংগ্রেসের আর এক নেতা ডি কে শিবকুমার দাবি করেছেন, সরকারি সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি বিরোধী বিধায়কদের দলে টানার চেষ্টা করছে । বিজেপির এই অনৈতিক চেষ্টা সফল হবে না বলেও দাবি করছেন তিনি। যদিও, বিজেপি শিবির এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার ব্যপারে আশাবাদী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.