সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরএসএস (RSS) এবং বামপন্থীরা একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। কেরলের নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কার্যত এমনটাই দাবি করলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী শুধু কংগ্রেস মুক্ত ভারতের কথা বলেন। কংগ্রেস মুক্ত ভারতের স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু তিনি কখনও সিপিএম (CPM) মুক্ত ভারতের কথা বলেন না। কারণ, তিনি জানেন বামেরা আসলে আরএসএসের মতোই বিচ্ছিন্নতাবাদী। সংঘের মতোই হিংসা আর ক্রোধের রাজনীতিতে বিশ্বাসী সিপিএম।
কেরলের সভা থেকে কংগ্রেস নেতা বলেন, “যেখানেই মোদি যান, সেখানেই তিনি বলেন, কংগ্রেস মুক্ত ভারত চাই। সকালে ঘুম থেকে উঠে বলেন কংগ্রেস মুক্ত ভারত। রাতে ঘুমনোর আগে বলেন কংগ্রেস মুক্ত ভারত, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কখনও বলেন না, সিপিএম মুক্ত ভারত। কারণ, সিপিএমকে নিয়ে ওঁর কোনও আপত্তি নেই। কারণ উনি জানেন, ওঁদের মতোই বামেরাও বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি। ওঁরা সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করেন। ওঁরা হিংসা এবং ক্রোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন। কংগ্রেস কখনও ক্রোধ বা ঘৃণা ছড়ায় না। কংগ্রেস শুধু ঐক্যবদ্ধ করে।” রাহুলের অভিযোগ, বামপন্থীরা বছরের পর বছর ধরে কংগ্রেস নেতাকর্মীদের খুন করে আসছে। কিন্তু কংগ্রেস কখনও কাউকে মেরে ফেলে না।
আগামী ৬ এপ্রিল কেরলে বিধানসভা নির্বাচন। যাতে কিনা বামেদের সঙ্গে সরাসরি লড়াই কংগ্রেসের। বিজেপি কেরলে সামান্য শক্তি বাড়ালেও এখনও মূল লড়াইয়ে তারা আসতে পারেনি। কেরলের রাজনীতির প্রেক্ষিতে রাহুলের এই বক্তব্য হয়তো কেরলের রাজনীতির প্রেক্ষিতে কংগ্রেস কর্মীদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক। কিন্তু সর্বভারতীয় স্তরে তা রীতিমতো বুমেরাং হতে পারে। কারণ, কেরলে কংগ্রেস এবং বামেদের মধ্যে ‘কুস্তি’ চরমে উঠলেও বঙ্গে আবার দু’দলের ‘দোস্তি’ ভালই জমেছে। ত্রিপুরাতেও কমবেশি সমঝোতা করে চলছে বাম-কংগ্রেস (Congress)। আর জাতীয় রাজনীতিতে এই মুহূর্তে তারা একে অপরের পরিপূরক। এই অবস্থায় রাহুলের এই তীব্র বামবিদ্বেষ এ রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেই। অনেকে বলছেন, কেরলে ভোটে জয়ের জন্য মরিয়া রাহুল কি বাংলার কথা একেবারেই ভুলে গেলেন?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.