সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও এবং রাইসিনা অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি রাজধানী দিল্লিতে। রাষ্ট্রপতি ভবনের উদ্দেশ্যে পদযাত্রার সময় আটক রাহুল গান্ধী-সহ একাধিক কংগ্রেস নেতা। সাংসদদের মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ কংগ্রেসের।
এদিন সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কংগ্রেস কর্মীরা দিল্লিতে জমায়েত করতে থাকেন। দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) অবশ্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। দিল্লির সীমানা এলাকাগুলিতে কড়া প্রহরা বসানো হয়েছিল। রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তারক্ষীদের কার্যত ছয়লাপ করে ফেলা হয়েছিল। কংগ্রেস (Congress) সদর দপ্তরের সামনে মোতায়েন করা হয়েছিল আধা সামরিক বাহিনী। সঙ্গে দোসর মুষলধারে বৃষ্টি। সব উপেক্ষা করেই কংগ্রেস কর্মীরা এদিন পথে নামেন। মহিলা কংগ্রেসের কর্মীরা দলের সদর দপ্তরের সামনেই কাঠের জ্বালানিতে রান্না করে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করেন। যুব কংগ্রেস কর্মীরাও দলের সদর দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। দিল্লি পুলিশ বিক্ষোভ রুখতে গেলে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বহু কংগ্রেস নেতা-কর্মী আটক হন।
এদিকে একই দিনে কংগ্রেস সাংসদরাও রাষ্ট্রপতি ভবন অভিযান করেন। এদিন সকাল ১০টার পরই কংগ্রেস সাংসদরা কালো পোশাক পরে সংসদ চত্বরে হাজির হন। সেখান থেকে রাজ্যসভা (Rajya Sabha) এবং লোকসভার সাংসদরা যৌথভাবে রাইসিনার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু পথেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। সাংসদদের জানানো হয়, রাষ্ট্রপতি ভবন চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও তাঁরা রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে যেতে চাইলে তাঁদের আটক করা হয়। সাংসদদের মারধর করা হয় বলেও দাবি করেছে কংগ্রেস।
রাষ্ট্রপতি ভবনের পথে আটক হন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-সহ বহু কংগ্রেস নেতা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে (Priyanka Gandhi) আটক করেছে পুলিশ। তাঁকে রাস্তা থেকে টেনেহিঁচড়ে তোলা হয় জিপে।
আটক হওয়ার আগে রাহুল অভিযোগ করেন, ”আমাদের কাজ হল মানুষের ইস্যু নিয়ে সরব হওয়া। সেটা করতে গিয়ে কিছু কংগ্রেস সাংসদ আটক হয়েছেন। কাউকে কাউকে মারধর করা হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.