সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর পর রাহুল গান্ধী। আর জি কর কাণ্ডে ফের মুখ খুলল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে প্রিয়াঙ্কার থেকে রাহুলের বয়ান অনেকটাই আলাদা। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মূলত সরব হয়েছিলেন অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে। আর রাহুল গান্ধী অন্য বিরোধীদের মতোই অভিযোগ করলেন অপরাধীদের আড়াল করার।
এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে লোকসভার বিরোধী দলনেতা বললেন, “কলকাতায় চিকিৎসক তরুণীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গোটা দেশ স্তব্ধ। ওই তরুণীর সঙ্গে যে অমানবিক এবং নৃশংস ঘটনা ঘটেছে সেটা গোটা দেশের চিকিৎসক সমাজ এবং মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। নির্যাতিতাকে সুবিচার পাইয়ে দেওয়ার বদলে অপরাধীদের আড়ালের চেষ্টা স্থানীয় প্রশাসন এবং হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।”
রাহুলের বক্তব্য, “এই ঘটনা আমাদের ভাবতে বাধ্য করছে মেডিক্যাল কলেজের মতো জায়গাতেও যদি চিকিৎসকরা নিরাপত্তা না পান তাহলে অভিভাবকরা কীসের ভরসায় নিজেদের মেয়েদের বাড়ির বাইরে পাঠাবেন? নির্ভয়া কাণ্ডের পর কঠোর আইন আনা সত্ত্বেও এই ধরনের অপরাধ কেন কমানো যাচ্ছে না? হাথরস থেকে উন্নাও, কাঠুয়া থেকে কলকাতা, মহিলাদের উপর যেভাবে অত্যাচার বাড়ছে সেই, তার প্রতিবাদে সব দল, সব গোষ্ঠীর সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসা উচিত। এই কঠিন, অসহনীয় পরিস্থিতিতে আমি নির্যাতিতার পরিবারের প্রতি সমব্যাথী।
রাহুলের টুইটের পালটা এসেছে তৃণমূলের তরফেও। প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “উন্নাও বা হাথরাসের ঘটনার সঙ্গে আর জি করের ঘটনা মিলিয়ে ফেললে হবে না। উন্নাও বা হাথরাসে ধর্ষকদের আড়াল করার চেষ্টা হয়েছিল। এখানে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই শাস্তি দেওয়ার কথা বলছেন। ফাঁসির কথা বলছেন। আমরা আর জি করের পাশে আছি। অভিষেক এনকাউন্টারের কথা বলছে। সুতরাং এই ধরনের কথা বলা উচিত নয়।” রাজীব গান্ধীর আমলের সতীদাহের প্রসঙ্গ মনে করিয়ে কুণাল বললেন, “রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন জয়পুরের কাছে সতীদাহের মতো ঘৃণ্য ঘটনা ঘটেছিল। তখন তো রাজীব গান্ধী ইস্তফা দেননি। সুতরাং কিছু বলার আগে নিজেদের ইতিহাস ঘেটে দেখা উচিত।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.