সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছরের শেষদিনটা মায়ের সঙ্গে কাটালেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সারাদিন ধরে সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) প্রিয় মার্মালেড বা কমলালেবুর আচার বানালেন কংগ্রেস (Congress) সাংসদ। রান্নার ভিডিও নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশও করেছেন তিনি। মা-ছেলের রান্নার মধ্যে উঠে এল রাজনীতির প্রসঙ্গও। ক্যামেরার সামনেই ছেলেকে জেদি বলতে ছাড়লেন না সোনিয়া। তবে একমাত্র ছেলের প্রশংসাও শোনা গেল কংগ্রেস সাংসদের মুখে।
বর্ষশেষের দিন সকাল থেকেই রান্নার তোড়জোড় শুরু করেন রাহুল ও সোনিয়া। নিজেদের বাগান থেকেই তুলে আনেন তাজা কমলালেবু। শুরু হয় অরেঞ্জ মার্মালেড বানানো। বোন প্রিয়াঙ্কার রেসিপি মেনেই রান্না শুরু করেন কংগ্রেস সাংসদ। কমলালেবুর রস বের করে তার সঙ্গে চিনি মেশাতে মেশাতেই মায়ের সঙ্গে টুকটাক কথা বলতে থাকেন। রাহুলের মতে, বিজেপি সমর্থকরাও চাইলে এই মার্মালেড পেতেই পারেন তাঁর রান্নাঘর থেকে। তবে সোনিয়ার উত্তর, “ওরা এই মার্মালেড আমাদের দিকে ছুড়ে ফেলে দেবে।”
আলোচনার মধ্যেই উঠে আসে কীভাবে ভারতীয় খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। কংগ্রেস সাংসদ বলেন, “যখন ভারতে এসেছিলাম, বেশ অনেকটা সময় লেগেছিল ভারতীয় খাবার, মশলা সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে। বিশেষত ঝাল খাবার খেতে প্রথমদিকে বেশ সমস্যা হতো।” কথার ফাঁকে ফাঁকেই মার্মালেডের মিশ্রণের দিকে নজরও রাখেন রাহুল। জানান, ইংল্যান্ডে পড়াশোনা চলাকালীন নিজেই রান্না করে খেতেন। বেশ কয়েকবার এমন মার্মালেড বানিয়েছেন।
তখনই প্রশ্ন ধেয়ে আসে, তাহলে গান্ধী পরিবারের সেরা রাঁধুনি কে? মায়ের পছন্দের মার্মালেড রান্না করেও সোনিয়ার থেকে সেরা রাঁধুনির সার্টিফিকেট পাননি রাহুল। বরং জুটল জেদি তকমা। তবে সোনিয়া জানালেন, “রাহুল খুবই যত্নশীল। আমি অসুস্থ হলে দেখাশোনা করে।” কথার মাঝেই তৈরি হয়ে গেল মার্মালেড। বোতলে ভরে প্রত্যেকটিতে ছোট্ট বার্তা লিখে দিলেন রাহুল। বর্ষশেষের দিনের ভিডিও ইতিমধ্যেই দেখে ফেলেছেন বহু মানুষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.