সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসা নিয়ে সংসদে আলোচনা চেয়েছিলেন। কিন্তু, হোলির আগে তা করতে রাজি হয়নি সরকারপক্ষ। এর জেরে সংসদের ওয়ালে নেমে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস সাংসদরা। পরে সোনিয়া, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে উত্তেজিত হয়ে পড়েন কংগ্রেস সাংসদরা। সংসদের ওয়ালে নেমে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি অধ্যক্ষের চেয়ার লক্ষ্য করে কাগজ ছোঁড়েন। বিষয়টিকে ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে লোকসভা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে সংসদবিরোধী আচরণের জন্য গৌরব গগৈ-সহ সাতজন কংগ্রেস সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। আজ এর প্রতিবাদে সংসদ ভবনের বাইরে থাকা গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখালেন কংগ্রেস সাংসদরা।
রাহুল গান্ধী ও অধীর চৌধুরির পাশাপাশি এই বিক্ষোভে হাজির ছিলেন সাসপেন্ড হওয়া সাতজন সাংসদও। কেন্দ্রীয় সরকারের দমননীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখানোর পাশাপাশি দিল্লির হিংসার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগও দাবি করেন। বিক্ষোভকারী কংগ্রেস সাংসদদের অভিযোগ, এক সপ্তাহ ধরে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক অশান্তি চললেও তা আটকানোর জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। উলটে শাসকদলের কয়েকজন নেতার উসকানির জন্য হিংসা আরও বৃদ্ধি পায়। এখনও সংসদে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা মানতে চাইছে না।
এপ্রসঙ্গে সাসপেন্ড হওয়া কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈই বলেন, ‘এই ঘটনার ফলে আমরা ভীত নই। দিল্লির হিংসা নিয়ে আলোচনার দাবি জানাতে কোনও ভয় পাইনি আমরা। যতক্ষণ পর্যন্ত এই নিয়ে আলোচনা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। এর পাশাপাশি দিল্লিতে হওয়া হিংসা রুখতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করছি।’
গতকালের ঘটনা জেরে আজ লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি রাখার জন্য নোটিস দেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরি ও কোদিকুন্নিল সুরেশ। অন্যদিকে দিল্লির হিংসা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়ে রাজ্যসভায় নোটিস দেন গুলাম নবি আজাদ ও আনন্দ শর্মা। রাজ্যসভার সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করেই অবিলম্বে এই নিয়ে আলোচনার দাবি জানান। পরে রাজ্যসভা ও লোকসভা আগামী ১১ মার্চ পর্যন্ত মুলতুবি রাখা হয়।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.