সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর রাখঢাক নয়। এবার খুল্লমখুল্লা একে অপরের বিরোধিতা শুরু করে দিল তৃণমূল এবং কংগ্রেস। বিরোধী শিবিরের দুই অন্যতম শক্তির ‘বিরোধ’ যেন আরও প্রবল এবং আরও জোরাল হয়ে গেল। মমতা (Mamata Banerjee) যেমন বললেন, মানুষের কাছে ভোট চাওয়ার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে কংগ্রেস, পালটা রাহুলও তেমন বললেন, তৃণমূল মেঘালয়ে লড়তে এসেছে শুধু বিজেপিকে সাহায্য করার জন্য।
‘ভারত জোড়ো’ (Bharat Jodo) যাত্রায় ব্যস্ত থাকায় রাহুল গান্ধী ত্রিপুরার ভোটপ্রচারে যাননি। মেঘালয়েও এদিনই প্রথম সভা ছিল প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির। বিজেপিকে বিঁধলেও পাহাড়ি রাজ্যটিতে এদিন রাহুলের নিশানায় মূলত ছিল তৃণমূল। তিনি বলেন, তৃণমূল (TMC) মেঘালয়ে লড়াই করছে শুধু বিজেপি যাতে ক্ষমতায় আসে সেটা নিশ্চিত করতে। গোয়াতেও তৃণমূল বিজেপিকে সাহায্য করতে গিয়েছিল। উত্তর-পূর্বেও সেটাই করছে।
এরপর সরাসরি তৃণমূলকে বিঁধে রাহুল বলে দেন, “আপনারা তৃণমূলের ইতিহাস জানেন। বাংলায় আজ কী পরিমাণ দুর্নীতি আর হিংসা আপনারা জানেন। ওরা গোয়াতেও (Goa) প্রচুর প্রচুর টাকা খরচ করেছে। লক্ষ্য ছিল বিজেপিকে (BJP) সাহায্য করা। এবারও ওদের এমনটাই পরিকল্পনা। যেভাবেই হোক বিজেপিকে শক্তিশালী করাটাই ওদের লক্ষ্য।” তাৎপর্যপূর্ণভাবে বুধবারই মেঘালয়ের (Meghalaya) এক সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “মানুষের কাছে ভোট চাওয়ার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে কংগ্রেস। ওরা লড়াইটাই করতে পারে না।” মমতার আক্রমণের পর রাহুলের এই পালটা আক্রমণ দুই শিবিরের মধ্যে বস্তুত খুল্লমখুল্লা বাকযুদ্ধের সূচনা করে দিল।
তৃণমূল এবং কংগ্রেসের এই দূরত্ব অবশ্য নতুন কিছু নয়। কিন্তু এতদিন সবটাই ছিল ঢাকাচাপা। দুই দলের একেবারে শীর্ষস্তরের নেতৃত্ব সেভাবে একে অপরকে তোপ দাগেননি কখনও। কিন্তু মেঘালয়ের ভোটপ্রচারে দুই শিবিরের সুপ্ত মতবিরোধকে কার্যত বিবাদে পরিণত করল। এখন দেখার আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতিতে মেঘালয়ের এই ‘বিবাদ’ কী প্রভাব পড়ে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.