সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের আগে হিন্দুত্বের লড়াইটা আরও জমিয়ে দিলেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সভাপতি ‘পৈতাধারী হিন্দু’, দলীয় নেতাদের এই দাবিতেই শিলমোহর দিলেন পুষ্করের পুরোহিত। সোমবার পুষ্করের মন্দিরে পুজো দেওয়ার সময়ই নিজের গোত্র জানিয়েছেন রাহুল, শুধু তাই নয় মন্দিরের পুঁথিতে কংগ্রেস সভাপতির পূর্বপুরুষদের গোত্রও লিপিবদ্ধ আছে বলে দাবি ওই পুরোহিতের।
সভাপতি হওয়ার পর থেকেই নরম হিন্দুত্বের পন্থা অবলম্বন করেছেন রাহুল গান্ধী। ভোট এলেই তাঁর ‘টেম্পল রান’ এখন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। এমনকী কৈলাশ মানস সরোবরেও ঘুরে এসেছেন কংগ্রেস সভাপতি। কিন্তু নিজেকে শিবভক্ত বলে দাবি করা রাজীব-পুত্র আদৌ হিন্দু নন, এমন অভিযোগ গুজরাট ভোটের আগেই তুলেছিল বিজেপি। গেরুয়া সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী দাবি করেছিলেন, রাহুল ক্যাথলিক খ্রিষ্টান। সেসময় কংগ্রেসের তরফে টুইট করে দাবি করা হয়, কংগ্রেস সভাপতি শুধু হিন্দুই নন, পৈতাধারী হিন্দু।
বিজেপির তরফ থেকে পালটা প্রশ্ন ছোঁড়েন সম্বিত পাত্র। তিনি বলেন, রাহুল যদি পৈতাধারী হিন্দুই হয়ে থাকেন তাহলে তাঁর গোত্র কী? সাহস থাকলে গোত্র প্রকাশ্যে আনুন। সম্বিত পাত্রের প্রশ্নের জবাব সরাসরি কংগ্রেসের তরফে আসেনি। কিন্তু রাহুলের হয়ে কার্যত উত্তরটি দিয়ে দিলেন পুষ্করের মন্দিরের পুরোহিত দীননাথ কউল। তাঁর দাবি, , “রাহুলের গোত্র দত্তাত্রেয় এবং উনি কাশ্মীরী ব্রাহ্মণ। এর আগে এই মন্দিরে পুজো দিয়েছেন মতিলাল নেহরু, জওহরলাল নেহরু, সঞ্জয় গাঁধী, মানেকা গাঁধী। সবার পুজো দেওয়ার নথিই আমাদের কাছে আছে। সেই সব নথিও একই কথা বলছে। ঘাটে পুজো দেওয়ার সময় রাহুল নিজেও আমাকে এই ধর্মীয় পরিচয়ই দিয়েছেন। দত্তাত্রেয় গোত্রের মানুষ কউল সম্প্রদায়ের হয়, আর কউলরা কাশ্মীরী ব্রাহ্মণ।”
ভোটের আগে রাহুলের গোত্র প্রকাশ্যে আসায় নির্বাচনে কংগ্রেস সুবিধা পাবে বলে দাবি দলের। যদিও বিরোধীরা বলছেন, রাহুলের বিভিন্ন প্রজন্মে একাদিক ধর্মের উপস্থিতি রয়েছে। তাঁর মা সোনিয়া গান্ধী রোমান ক্যাথলিক, পিতামহ ফিরোজ গান্ধী আবার জন্মসূত্রে পার্সি। নেহেরু, ইন্দিরারা অবশ্য কাশ্মীরী ব্রাহ্মণ। এই জটিলতাকে কাজে লাগিয়েই পালটা আসরে নামছে বিরোধীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.