Advertisement
Advertisement

Breaking News

Pegasus

কেন্দ্রই কিনেছিল পেগাসাস! নয়া রিপোর্ট দেখিয়ে মোদি সরকারকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বললেন রাহুল

'নিউ ইয়র্ক টাইমসে'র দাবি, ২০১৭ সালে ইজরায়েলের থেকে ওই সফটওয়্যার কিনেছিল কেন্দ্র।

Rahul Gandhi has attacked Centre after a report claimed Modi govt had bought the Pegasus spyware। Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি

Published by: Biswadip Dey
  • Posted:January 29, 2022 2:17 pm
  • Updated:January 29, 2022 2:30 pm  

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: নয়া মোড় পেগাসাস (Pegasus) বিতর্কে। এবার বিস্ফোরক দাবি রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandi)। মোদি সরকারই ওই সফটওয়্যার কিনেছে বলে অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় সরকারকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস নেতা। ‘নিউ ইয়র্ক টাইমসে’ প্রকাশিত একটি রিপোর্টের উল্লেখ করেই মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।

কী বলা হয়েছে ওই রিপোর্টে? ওই রিপোর্টের দাবি, ২০১৭ সালে ২ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ইজরায়েলের থেকে ওই সফটওয়্যার কিনেছিল কেন্দ্র। ওই সময় ইজরায়েলের সঙ্গে ভারতের একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়েছিল। এর মধ্যেই ছিল পেগাসাসও। স্বাভাবিক ভাবেই রিপোর্টটি নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সংস্কারমুখী নয়, পাঁচ রাজ্যের ভোটের আগে বাজেট হবে জনমোহিনী! বাড়ছে গুঞ্জন]

নয়া রিপোর্ট ঘিরে পেগাসাস ইস্যু নিয়ে বাজেট অধিবেশন শুরুর আগে সরব বিরোধীরা। এদিন সেই রিপোর্টের উল্লেখ করেই টুইট করেন রাহুল। তিনি লেখেন, ”মোদি সরকার পেগাসাস কিনেছিল বুনিয়াদি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মী, বিরোধী নেতানেত্রী,সশস্ত্র বাহিনী ও বিচার ব্যবস্থায় আড়ি পাততে। এটা বিশ্বাসঘাতকতা। মোদি সরকার বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।”

কেবল রাহুলই নন, অন্য শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতারাও মুখ খুলেছেন এই বিতর্কে। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে টুইটারে মোদি সরকারকে আক্রমণ করে লেখেন, ”কেন মোদি সরকার এভাবে ভারতেরই শত্রু হয়ে উঠে ভারতের নাগরিকদের বিরুদ্ধেই যুদ্ধাস্ত্র প্রয়োগ করতে চাইছে?” কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয় তা উল্লেখ করে প্রবীণ নেতার দাবি, যেন এই ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার মেলে। এছাড়াও তিনি বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টেও এই প্রসঙ্গে মিথ্যে বলেছে সরকার। 

[আরও পড়ুন: বাজেট অধিবেশনে একসঙ্গে চলুক সম-মনোভাবাপন্ন দলগুলি, ঘুরিয়ে তৃণমূলকে বার্তা কংগ্রেসের]

উল্লেখ্য, পেগাসাস কাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সুপ্রিম কোর্ট। গত অক্টোবরেই এই বিতর্কে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন প্রধান বিচারপতি। জানিয়েছিলেন, “কেন্দ্রকে জবাব দেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও জবাব দেয়নি কেন্দ্র। ব্যক্তির গোপনীয়তার অধিকার রক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় নিরাপত্তার (National Security) দোহাই দিয়ে সরকার যা খুশি করতে পারে না। এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের আরও সতর্ক থাকা উচিত।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement