সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হরিয়ানার ভোটের মুখে কংগ্রেসের হাতে নয়া অস্ত্র তুলে দিয়েছেন কঙ্গনা রানাউত। যে তিন কৃষি আইন নিয়ে দেশজোড়া বিতর্ক। পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকদের আন্দোলনের চাপে যে কৃষি আইন প্রত্যাহার পর্যন্ত করতে হয়েছিল মোদি সরকারকে, এবার সেই কৃষি আইনই ফেরানোর দাবি করে বসেছেন তিনি। কঙ্গনার সেই ‘অপরিণামদর্শী’ মন্তব্যের জন্য দলই ভর্ৎসনা করেছে তাঁকে। এবার আসরে নামলেন রাহুল গান্ধী।
বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্পষ্ট করতে হবে ‘কালা’ কৃষি আইন ফেরানো হচ্ছে কিনা? রাহুলের দাবি, বিজেপি এভাবেই দলের কোনও না কোনও লোককে দিয়ে ইস্যু তুলে আনে। এবং তাতে জনগণের প্রতিক্রিয়া বোঝার চেষ্টা করে। তার পর সেই ইস্যু নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। তাই প্রধানমন্ত্রীকে স্পষ্ট করতে হবে, কৃষি আইন ফেরত আনা হবে কিনা।
सरकार की नीति कौन तय कर रहा है? एक भाजपा सांसद या प्रधानमंत्री मोदी?
700 से ज़्यादा किसानों, खास कर हरियाणा और पंजाब के किसानों की शहादत ले कर भी भाजपा वालों का मन नहीं भरा।
INDIA हमारे अन्नदाताओं के विरुद्ध भाजपा का कोई भी षडयंत्र कामयाब नहीं होने देगा – अगर किसानों को नुकसान… pic.twitter.com/ekmHQq6y5D
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) September 25, 2024
দিন কয়েক আগে কঙ্গনা বলেছিলেন, “আমি জানি আমার এই মন্তব্য বিতর্কিত হতে পারে। কিন্তু তিনটি কৃষি আইন ফিরিয়ে আনা উচিত। কৃষকদেরই উচিত সেটার দাবি করা। কৃষকরা আমাদের সমাজের স্তম্ভ। আমি চাই, তারাই আবেদন করে কৃষি আইন ফেরাক।” কঙ্গনার এই মন্তব্য হরিয়ানার ভোটের মুখে অস্বস্তিতে পড়ে যায় বিজেপি। কারণ, হরিয়ানায় এখনও কৃষক বিক্ষোভের আগুন ধিকিধিকি জ্বলছে। বেগতিক বুঝে আসরে নামেন বিজেপির অন্য নেতারা। অভিনেত্রী সাংসদের মতামতকে একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত মতামত বলে দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, কৃষি আইন ফেরানোর প্রশ্নই নেই।
কিন্তু বিজেপির সেই সাফাই মানতে নারাজ রাহুল গান্ধী। তিনি বলছেন, “সরকারের নীতি কে ঠিক করছে? একজন বিজেপি সাংসদ নাকি প্রধানমন্ত্রী? ৭০০ কৃষকের মৃত্যুর পরও কি বিজেপি সন্তুষ্ট নয়? ইন্ডিয়া জোট কৃষকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করার চেষ্টা করলে সেটা সফল হতে দেবে না। এমন কোনও পদক্ষেপ করা হলে ক্ষমা চাইতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.