সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: গণতন্ত্রের মন্দিরে জায়গা নেই বিরোধীদের! সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়েই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন খোদ বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর দাবি, গত ৭-৮ দিন তাঁকে সংসদে বলতে দেওয়া হয়নি। যখনই স্পিকারের কাছে বলতে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন, তিনি পালিয়ে গিয়েছেন।
গত ১৮ মার্চ সংসদে কুম্ভ নিয়ে বিবৃতি দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিন রাহুল বেকারত্ব এবং কুম্ভ নিয়ে বলতে চেয়েছিলেন। কংগ্রেসের অভিযোগ, সেদিন থেকে আর বিরোধী দলনেতাকে লোকসভায় বলার অনুমতি দেননি স্পিকার। বুধবার রায়বরেলির সাংসদ সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেছেন, “সংসদে বিরোধীদের বলতে দেওয়ার একটা রীতি আছে। আমিও স্পিকারকে অনুরোধ করেছিলাম আমাকে বলতে দিতে। কিন্তু উনি পালিয়ে গেলেন।”
রাহুলের কথায়, “এভাবে সংসদ চালানো যায় না। এটা অগণতান্ত্রিক। স্পিকার স্রেফ পালিয়ে গেলেন। উনি আমার সম্পর্কে এমন কিছু বললেন যার কোনও প্রমাণ নেই।” বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, “প্রধানমন্ত্রী কুম্ভ মেলা নিয়ে বললেন। আমি বেকারত্ব নিয়ে বলতে চাইলাম সময় দেওয়া হল না। গত ৭-৮ দিন আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি। সংসদে বিরোধীদের জন্য কোনও জায়গাই নেই। সংসদ যেন শুধুই সরকারের।” রাহুলের অভিযোগের পর ৭০ জন কংগ্রেস সাংসদ স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেছেন। রাহুলকে কেন বলতে দেওয়া হচ্ছে না, সেটা নিয়ে স্পিকার ওম বিড়লার কাছে রীতিমতো ক্ষোভপ্রকাশ করে এসেছেন কে সি বেণুগোপাল, গৌরব গগৈরা। পরে তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাও রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন। তিনিও বলছেন, “রাহুল গান্ধী ঠিকই বলেছেন। সংসদে বিরোধীদের বলতে দেওয়া হচ্ছে না। রাহুল বিরোধী দলনেতা, প্রতিভাবান। সেদিক থেকে বলতে গেলে আমাদেরও নেতা। তাঁকে বলতে দেওয়া উচিত।”
অবশ্য ওম বিড়লার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এই প্রথম নয়। ২০২৪ লোকসভার আগেও একসঙ্গে শতাধিক সাংসদকে সাসপেন্ড করার অভিযোগ উঠেছিল ওম বিড়লার বিরুদ্ধে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.