সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবারের সকালটা একটু অন্যরকম কাটল কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর। ভোটপ্রচারে বিরতি টেনে দেখা করলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর সঙ্গে। আর এই বৈঠক ঘিরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ভোটগ্রহণ মেটার পরেই টিডিপির সঙ্গে জোট বাঁধছে কংগ্রেস?
২১ মে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে বৈঠক করার কথা রাহুল ও চন্দ্রবাবুর। নতুন সরকার গড়তে মহাজোটের ভূমিকা কী হবে তা ওই বৈঠকে আলোচনা হবে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। চলতি লোকসভায় বিজেপিকে ধরাশায়ী করতে পারলে মহাগঠবন্ধন হতে পারে। সেই নিয়েই এখন থেকে আলোচনা শুরু করলেন রাহুল গান্ধী।
বুধবার রাহুলের সঙ্গে দেখা করেই পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন চন্দ্রবাবু। এরপর বুধ, বৃহস্পতি এবং শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিভিন্ন নির্বাচনী জনসভায় উপস্থিত থাকবেন। এপ্রসঙ্গে একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নায়ডু বলেন, “২৩ মে-র পর নতুন সরকার গঠন হবেই। তাই আঞ্চলিক দলগুলির জন্য এই সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি আরও জানান, বিজেপি হারলে তিনটি রাস্তা খোলা আছে। এক, কংগ্রেস এগিয়ে থেকে পথ দেখাবে। দুই, কংগ্রেস বাইরে থেকে তৃতীয় ফ্রন্ট সরকারকে সাপোর্ট দেবে। তাও যদি না হয়, তাহলে কংগ্রেস মহাজোটে যোগ দেবে।
বিজেপি বিরোধী মহাজোট তৈরি হলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, এই নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। এর উত্তরে বিরোধী নেতারা কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কখনও মায়াবতী, কখনও বা রাহুল গান্ধীর নাম করেছেন। তবে জোটের তরফে কখনই স্পষ্ট করা হয়নি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম। ২১ মে-এর বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে বুধবার জানান টিডিপি সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নায়ডু। তিনি বলেন, ২১ মে অর্থাৎ ফলপ্রকাশের ঠিক দু’দিন আগে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঠিক করতে বৈঠক করবে বিরোধী দলগুলি।
কয়েকদিন আগে বিরোধীদের জোট প্রক্রিয়া কটাক্ষ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। বলেছিলেন, “বিরোধী নেতাদের অনেকেই প্রধানমন্ত্রী পদে বসবেন বলে নতুন জামা কিনে বসে আছেন। কিন্তু, ২৩ মে-র পর সেই জামা ছিঁড়ে ফেলবেন।” বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একজন প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্য করা উচিত নয় বলে উল্লেখ করেন চন্দ্রবাবু।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.