সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভায় হারের দায় নিয়ে কংগ্রেসের সভাপতিত্ব ছেড়েছেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু তাতে কী, আমেঠিতে হারের জন্য দায় নিতে চাইলেন না কংগ্রেস নেতা। বরং তিনি দূষলেন স্থানীয় নেতাদের। রাহুলের দাবি, স্থানীয় নেতাদের জনসংযোগের অভাবেই স্মৃতি ইরানির কাছে হেরেছেন তিনি।
লোকসভার সবচেয়ে চমকৃত ফলাফলগুলির মধ্যে অন্যতম আমেঠিতে স্মৃতি ইরানির জয় । ততকালীন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে ৫৫ হাজার ভোটে হারিয়ে দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। রাহুলের হারের জন্য অবশ্য, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা পুরোদস্তুর দোষ দিয়েছেন রাহুলের অকর্মণ্যতাকেই। ১৫ বছর আমেঠির সাংসদ থাকার পরও তাঁর এলাকায় যে উন্নয়নের কাজ উপযুক্ত গতিতে এগোয়নি, সেকথা স্বীকার করে নেন কংগ্রেস নেতারাও। অথচ, সেই রাহুলই কেন দূষছেন স্থানীয় নেতাদের, তার কোনও যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
লোকসভার হারের পর বুধবারই প্রথমবার আমেঠি যান প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। সেখানে গিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। দলীয় বৈঠকে তিনি বলেন, “আমি কর্মী-সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। তাঁরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। কিন্তু, আমরা হেরেছি, স্থানীয় নেতাদের জনসংযোগের অভাবে। নেতারা মানুষের কাছ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন। যে কারণেই হারতে হয়েছে কংগ্রেসকে।”
গোপন দলীয় বৈঠকে একথা বললেও, প্রকাশ্যে অবশ্য অন্য কথা বলছেন রাহুল। তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন, “আমেঠির উন্নয়নে কোনও বাধা থাকবে না আমার হারের পরও। আমি ওয়ানড়ের সাংসদ হলেও আমেঠির সঙ্গে আমার তিন দশকের সম্পর্ক। আমি আমেঠি ছাড়ব না। এটা আমার বাড়ি, আমার পরিবার।” এরপর টুইটারেও তিনি বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, “আমেঠিতে আসতে পেরে আমি খুব খুশি। মনে হল, বাড়ি ফিরলাম।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমেঠির হার রাহুলকে যেমন ব্যাথিত করেছে, তেমন অনেক কিছু শিখিয়েও দিয়েছে। আগের বার স্মৃতি যে ফর্মুলাতে রাহুলকে হারিয়েছেন, রাহুলও এবার সেটাই করতে চাইছেন। আর সেকারণেই, হারের পর ফের আমেঠিতে এসেছেন তিনি।
अमेठी आकर बहुत खुश हूँ। अमेठी आना घर आने जैसा लगता है। pic.twitter.com/B6YW2f7aLg
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) July 10, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.