সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় ২২ জনের বেকসুর খালাস পাওয়ার দু’দিন পর বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। দু’দিন আগে মুম্বইয়ে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত প্রমাণের অভাবে ছেড়ে দিয়েছে অভিযুক্তদের। রবিবার রাহুল গান্ধী বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, শেখ সোহরাবউদ্দিন, তুলসীরাম প্রজাপতি বা কওসরকে কেউ হত্যা করেনি। তাঁরা এমনিই মারা গিয়েছেন!
NO ONE KILLED…
Haren Pandya.
Tulsiram Prajapati.
Justice Loya.
Prakash Thombre.
Shrikant Khandalkar.
Kauser Bi.
Sohrabuddin Shiekh.
THEY JUST DIED.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) December 22, 2018
আদালতের রায় দেওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় এদিন একটি পোস্ট করেন রাহুল গান্ধী। সেখানে লেখেন, ”সোহরাবউদ্দিন, তুলসীরাম প্রজাপতি, কওসর, হরেন পাণ্ডিয়া, বিচারপতি লোয়া, প্রকাশ থোমরে, শ্রীকান্ত খান্ডালকরের নাম উল্লেখ করেন তিনি। লেখেন, কাউকে হ্ত্যা করা হয়নি। সবাই এমনিই মারা গিয়েছেন!” ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় এতবছর পর অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস দেওয়ার বিরুদ্ধেই এদিন সরব হলেন রাহুল। গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন অমিত শাহ। রাজনৈতির মহলের মতে, কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর তাই বিজেপি এই মামলায় প্রভাব খাটিয়েছে। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারপতি এসজে শর্মা ৩১ ডিসেম্বর অবসর নিতে চলেছেন। তার আগে শুক্রবার সোহরাবুদ্দিন মামলায় ২২ জনকে তিনি বেকসুর খালাস করে দেন। তিনি জানান, যথেষ্ট প্রমাণ ও সাক্ষীর অভাবে এই মামলা খারিজ করা হয়েছে। সোহরাবুদ্দিন ও প্রজাপতির পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। জানান, উপযুক্ত প্রমাণ ও সাক্ষী না পেলে এই মামলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
২০০৫ সালের নভেম্বরে গুজরাট পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় সোহরাবউদ্দিন শেখের। পুলিশ অভিযোগ করে, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্করের সঙ্গে যুক্ত ছিল সোহরাবউদ্দিন। গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হত্যার ছকে লিপ্ত ছিল সে। তার পরের বছরই গুজরাটের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের এনকাউন্টারে খতম করা হয় তুলসীরাম প্রজাপতিকে। প্রায় ১৩ বছর ধরে চলে এই মামলা। মোট ৩৭ জনের নাম জড়ায়। যাদের মধ্যে ১৬ জনই ছিলেন আইপিএস অফিসার ও রাজনৈতিক নেতা। এই মামলায় নাম ছিল গুজরাটের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও রাজ্য পুলিশের ডিজি বানজারার। লোকসভা ভোটের আগে এই সোহরাবউদ্দিনের মামলায় অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস হওয়া রাজনৈতিকভাবেও তাৎপর্যপূর্ণ। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন কংগ্রেস সভাপতি। নির্বাচনের আগে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.