সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপমান করেছেন জওয়ানদের। অপমান করেছেন প্রত্যেক দেশবাসীকে, শহিদদের এবং জাতীয় পতাকাকে। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের বিরুদ্ধে এভাবেই ক্ষোভ উগরে দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
[ যুদ্ধ বাধলে ৩ দিনেই মোকাবিলায় তৈরি আরএসএস, হুংকার ভাগবতের ]
তিরিশ ঘণ্টার রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে পর মুক্ত জম্মুর সেনাঘাঁটি। পাঁচ জওয়ানের শহিদ হওয়ার বিনিময়ে থামে রক্তস্নান। এই পরিস্থিতিতে জঙ্গি হামলা ঠেকানোর কৌশল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কীভাবে বারবার সীমান্ত পেরিয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা হানা দিচ্ছে তারও জবাব মেলেনি। লাগাতার হামলায় সেনাবাহিনী যখন প্রশ্নের মুখে তখন চাপ আরও বাড়িয়েছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। কার্যত সেনার ব্যর্থতাকে তুলে ধরে ভাগবত জানিয়ে দিলেন, প্রয়োজন পড়লে দেশের জন্য তাঁদের সংগঠনই সেনাবাহিনী গড়বে। এর জন্য আঠারো মাসে বছর নয়, ভাগবতের কথায় মাত্র তিন দিনেই স্বয়ংসম্পূর্ণ বাহিনী তৈরি হয়ে যাবে। ভাগবতের এই মন্তব্যের পরই গোটা দেশে শোরগোল পড়ে। তাহলে কি দেশের সেনাকে কর্মক্ষমতাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন তিনি? ঠিক এই প্রশ্নই উসকে দিয়ে রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, ভাগবতের এই মন্তব্য প্রত্যেক দেশবাসীর অপমান। যাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদের প্রতি অপমান স্পষ্ট এহেন বক্তব্যে, দাবি রাহুলের। তিনি জানান, এই অপমান আমাদের জাতীয় পতাকার, কেননা প্রতিটি সেনা সেই তেরঙ্গাকেই স্যালুট করে যুদ্ধে জীবন বাজি রাখেন। এভাবে শহিদ ও সেনাদের অপমান করার জন্য ভাগবত যেন ক্ষমা চান, এমনটাই দাবি কংগ্রেস সভাপতির।
The RSS Chief’s speech is an insult to every Indian, because it disrespects those who have died for our nation.
It is an insult to our flag because it insults every soldier who ever saluted it.
Shame on you Mr Bhagwat, for disrespecting our martyrs and our Army. #ApologiseRSS pic.twitter.com/Gh7t4Ghgon
— Office of RG (@OfficeOfRG) February 12, 2018
[ মোদি শুধু উইকেটরক্ষকের দিকে তাকান, রান হবে কী করে? বিদ্রুপ রাহুলের ]
এদিকে এ নিয়ে বিতর্ক শুর হওয়ার পরই সাফাই দিয়েছে আরএসএস। জানানো হয়েছে, সরসংঘচালকের বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কখনওই সেনাকে অপমান করার উদ্দেশ্য নিয়ে একথা বলেননি ভাগবত। তিনি বলতে চেয়েছেন, যদি দরকার পড়ে এবং সংবিধান অনুমতি দেয়, তাহলে তিন দিনের মধ্যেই স্বয়ংসেবকদের যুদ্ধের জন্য তৈরি করে তোলা যাবে। কারণ তাঁরা নিয়মিত অনুশীলনের মধ্যেই থাকেন। যেখানে সাধারণ কোনও মানুষকে যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে সেনার অন্তত মাস ছয়েক সময় লাগবে। অর্থাৎ সেনার সঙ্গে স্বয়ংসেবকদের তুলনা নয় এটি। বরং সাধারণ একজন যুবক, যিনি প্রশিক্ষিত নন, তাঁর সঙ্গে একজন প্রশিক্ষিত স্বয়ংসেবকের তুলনা টানতে গিয়েই এ কথা বলেছেন ভাগবত। তা সেনাকে খাটো করে দেখানোর জন্য। বরং একজন স্বয়ংসেবককেও প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করবে সেনাই। যদিও আরএসএস-এর সাফাইয়ের পরও বিতর্ক মিটছে না।
[ নিরাপত্তায় অতিরিক্ত নজর, একধাক্কায় চারগুণ দামি তাজমহলের টিকিট ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.