Advertisement
Advertisement

অসমের নাগরিকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, এনআরসি ইস্যুতে বিজেপিকে তোপ রাহুলের

মমতার তুলনায় সুর নরম রাহুলের!

Rahul attacks BJP over NRC
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 30, 2018 7:53 pm
  • Updated:July 30, 2018 7:53 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসমের নাগরিকপঞ্জী নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। সরাসরি নাগরিকপঞ্জীর বিরোধিতা না করেও তালিকা তৈরির পদ্ধতি নিয়ে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুললেন তিনি। একটি ফেসবুক পোস্টে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, অসমের প্রত্যেক নাগরিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি থেকেই পরিষ্কার ১২ হাজার কোটি টাকা খরচ করেও নাগরিকপঞ্জীর তালিকা নির্ভুল করতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। রাহুলের অভিযোগ, অনেক বৈধ ভারতীয় নাগরিকও তালিকায় স্থান পাননি। অসমের পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক এবং স্পর্শকাতর। বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সরকারের বেপরোয়া মনোভাবকেই দায়ী করেছেন কংগ্রেস সভাপতি।

Advertisement

[ভয়ে আছে মুসলিমরা, চিঠি লিখে রাহুলকে সুর চড়ানোর পরামর্শ ইমামের]

এনআরসি প্রকাশ্যে আসার পর তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে সুর চড়িয়েছিলেন সে তুলনায় রাহুল এদিন অনেকটাই নরম মনোভাবের পরিচয় দিলেন। এর জন্য অবশ্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অসমের স্থানীয় রাজনীতির বাধ্যবাধকতাকে দায়ী করছেন। তাঁরা বলছেন এনআরসির বিরোধিতা করে অসমের ভূমিপুত্রদের সমর্থন হারাতে চায় না কংগ্রেস। তাছাড়া এনআরসি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ইউপিএ আমলেই। আর রাহুলের বাবা রাজীব গান্ধীর করা চুক্তিকে সম্মান দিতেই এনআরসি চালু করেছিল পূর্ববর্তী ইউপিএ সরকার। তাই মমতার মতো অতটা সুর চড়াতে পারলেন না কংগ্রেস সভাপতি।

[মধ্যবিত্তের জন্য সুখবর, ফিক্সড ডিপোজিটে সুদ বাড়াল এসবিআই]

তবে, কৌশলে ৪০ লক্ষ মানুষের পাশে থাকার বার্তাও দিয়ে দিলেন রাহুল। ফেসবুক পোস্টে তিনি কংগ্রেস কর্মীদের অনুরোধ করেন, জাতি, ধর্ম, সম্প্রদায় নির্বিশেষে যার সঙ্গেই অন্যায় হচ্ছে, তাঁর পাশে দাঁড়াতে হবে। যারা বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও নাগরিকত্ব পাননি, তাঁদের পাশে দাঁড়াতেও দলীয় কর্মীদের অনুরোধ করেছেন রাহুল। একা কংগ্রেস বা তৃণমূল নয়, সিপিএমের তরফেও ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র অভিযোগ করেছেন ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিক পঞ্জী তৈরি করছে বিজেপি। 

[ত্রিপুরায় বাতিল সরকারি কর্মীদের পেনশন এবং পিএফ, বঞ্চনার অভিযোগ বিরোধীদের]

এদিকে অসমে ক্রমাগত হিংসা বাড়ার আশঙ্কায় ভুগছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। গোটা রাজ্য জুড়েই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement