সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে চাকরির জন্য হাহাকার। কমেছে আর্থিক বৃদ্ধির হার, জিডিপি। এই পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থ ত্যাগ না করলে অর্থনীতির পতন অব্যাহত থাকবে বলে মনে করেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। সোমবার তিনি মন্তব্য করেন, চাকরিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থা তুলে না দিলে দেশের হল ফেরানো কঠিন হবে।
চাকরিতে সংরক্ষণ নীতি বজায় থাকলে দেশের যুব সম্প্রদায়ের একাংশ নিজেদের বঞ্চিত মনে করবে বলে মত রাজনের। তিনি জানান, দেশের আর্থিক ব্যবস্থার হাল ফেরাতে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার। আর তা করতে হলে অবিলম্বে ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থ বিসর্জন দিতে হবে। তুলে দিতে হবে ‘কোটা’ বা সংরক্ষণ প্রথা। বস্তুত, দেশের নানা প্রান্তেই সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের দাবি তুলে আন্দোলন শুরু করেছেন অনেকে। গুজরাটে পতিদারদের মতো যথেষ্ট শক্তিশালী ও আর্থিকভাবে স্বাধীন সম্প্রদায়ের সদস্যরাও সংরক্ষণের দাবিতে জোরদার আন্দোলন চালাচ্ছেন। ভোটব্যাঙ্কের তাগিদে ওই আন্দোলনে গোপনে মদত দিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলির একাংশও।
রাজন চাইছেন এই প্রথার অবসান হোক। নইলে দেশকে আর্থিকভাবে শক্ত জমির উপর দাঁড় করানো যাবে না বলেই তাঁর মত। ভারতে এখন শুধুই পিছিয়ে পড়া নয়, বরং যথেষ্ট উন্নত সম্প্রদায়ের সদস্যরাও চাকরিতে সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলনে নামছেন। এতে আশঙ্কিত রাজন। দেশে চাকরি নেই বলেই যুবকরা এভাবে আগ্রাসী হয়ে উঠছেন বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর। রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বড় কর্পোরেট হাউসগুলির গোপন আঁতাঁতকেও ভাল লক্ষণ বলে মনে করেন না তিনি। কারণ, এতে কোনও একজনের স্বার্থ অবহেলিত হয়। গুরুত্ব পায় সুবিধাবাদী সমষ্টির স্বার্থ। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর থাকাকালীন তাঁকে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে রাজনের মন্তব্য, ‘এই ধরনের পদে থাকতে হলে চামড়া একটু মোটা হতে হয়।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.