সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রবল মনোবল ও কঠোর অধ্যবসায় মানুষকে কোন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে তার প্রমাণ অতীতে বহুবার পাওয়া গিয়েছে, তা আবারও প্রমাণ করলেন রাজস্থানের যোধপুরের বাসিন্দা আসারাম চৌধুরি৷ তাঁর বাবা রাস্তায় ফেলে দেওয়া কাগজপত্র ও বিভিন্ন ভাঙা সরঞ্জাম কুড়িয়ে বিক্রি করে যৎসামান্য আয় দিয়ে কোনওরকমে দিন গুজরান করেন৷ তাঁর ছেলেই এবার যাচ্ছেন যোধপুরের অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল সায়েন্স বা এইমসে চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করতে৷ ডাক্তার হয়ে ভবিষ্যতে গরিব মানুষের চিকিৎসা করবেন, এমনটাই স্বপ্ন দেখেন আসারাম চৌধুরি৷
[আস্থা ভোটের আগে সাবধানী এনডিএ শিবির।]
তাঁর এই কৃতিত্বকে নিজের বাবা-মা, ছোটবেলার স্কুল ও গ্রামের এক চিকিৎসকের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছেন আসারাম চৌধুরি৷ জানিয়েছেন, চরম আর্থিক কষ্টের মধ্যেও ছোট থেকেই বাবা-মা তাঁকে উদ্বুদ্ধ করে এসেছেন৷ সর্বদা পাশে ছিল ছোটবেলার দুই স্কুল নবোদয় বিদ্যালয় ও দক্ষিণা ফাউন্ডেশন এবং সবরকম ভাবে সাহায্য করে এসেছেন তাঁর গ্রামেরই এক চিকিৎসক৷ আবেগপ্রবণ আসারাম আরও জানান, পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তে গ্রামের সেই চিকিৎসকই প্রথম তাঁকে এই পেশার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছিলেন৷ পরিচয় করিয়েছিলেন ডাক্তারির মতো মহৎ পেশার সঙ্গে৷
[মোদি-শাহের নির্দেশে খাওয়ার টেবিলে সংঘবদ্ধ হচ্ছেন সাংসদরা]
ছেলের এই প্রাপ্তিতে গর্বিত হলেও তা নিজেদের মধ্যেই রাখতে চান আসারামের বাবা-মা৷ জানান, নিজেরা পড়াশোনা জানেন না৷ তাই ছেলের পাওয়াকেই নিজেদের পাওয়া হিসাবে দেখছেন তাঁরা৷ এখন সারাক্ষণ সন্তানের আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রার্থনাই করে চলেছেন দম্পতি৷ অতীতের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এখনও চোখের কোণে জল চলে আসে তাঁদের৷ এখনও মনে করেন অসহায়তার সময় হাতেগোনা কয়েকজনই তাঁদের পাশে ছিলেন৷ একটা সময় যখন দু’বেলার খাবারটুকু জুটত, ঘরে আলো ছিল না, তখন মাত্র কয়েকজনই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.