সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চুলের মুঠি ধরে টেনে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন শাশুড়ি। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীর বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন পুত্রবধূ ঐশ্বর্য রাই। যার জেরে রবিবার ১০ সার্কুলার রোডের বাসভবনে সামনে রীতিমতো চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।
শাশুড়ির বিরুদ্ধে ফের সরাসরি শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন তেজপ্রতাপ যাদবের স্ত্রী ঐশ্বর্য। গত তিন মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার রাবড়ি দেবীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনলেন তিনি। সন্ধে ছ’টা নাগাদ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঐশ্বর্য বলেন, “রাবরি দেবী আমার চুলের মুঠি ধরে টেনে হেনস্তা করেছেন। যন্ত্রণায় ছটফট করেছি। তারপর ১০ সার্কুলার রোডের বাংলোয় কর্মরত বডিগার্ডদের দিয়ে আমায় জোর করে বাইরে বের করে দেন। আমি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দারোগা রাইয়ের নাতনি। দেখুন আমার সঙ্গে কীরকম আচরণ করা হচ্ছে।”
ঘটনার পরই ঐশ্বর্যর বাবা তথা আরজেডি বিধায়ক চন্দ্রিকা রাই ছুটে যান রাবড়ি দেবীর বাড়িতে। মেয়েকে উদ্ধার করে প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। তারপর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সচিবালয় থানায় এফআইআর দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার রাবড়ি দেবীর বাড়িতে যায় পুলিশ। ডিএসপি রাকেশ প্রভাকর জানান, পুলিশের একটি দল রাবড়ি দেবীর বাড়িতে গিয়েছে। তাদের থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরই কোনও মন্তব্য করা সম্ভব।
২০১৮ সালের মে মাসে লালুপ্রসাদ যাদবের বড় ছেলে তেজপ্রতাপের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন ঐশ্বর্য। তবে বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয় সমস্যা। শ্বশুড়বাড়ি থেকে নিজের বাড়ি ফিরে যান ঐশ্বর্য। গত বছর নভেম্বরে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও দায়ের হয়। যে মামলা এখনও চলছে। তারই মধ্যে ফের শাশুড়ি-পুত্রবধূর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল। এর আগে সেপ্টেম্বরে রাবড়ি দেবী ও তাঁর মেয়ে মিসা ভারতীর বিরুদ্ধে খারাপ আচরণের অভিযোগ এনেছিলেন ঐশ্বর্য। চন্দ্রিকা রাই বলেন, “গতবার পুলিশের দ্বারস্থ হইনি। তবে এবার অভিযোগ দায়ের করেছি।” যদিও আরজেডি লেতা তেজস্বী প্রসাদ যাদবের দাবি, অন্যান্য ইস্যুগুলি থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই বিরোধীরা এই পরিকল্পনা করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.