সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে চমকে উঠেছিলেন পড়ুয়ারা। প্রশ্ন তো যেমন তেমন নয়। একেবারে কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র নিয়ে। তাও আবার তাতে জিএসটি-র প্রকৃতি কীরকম ছিল তাই-ই ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে। এরকম প্রশ্ন হাতে পেয়ে খানিকটা তাজ্জবই হয়েছেন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।
[ যান্ত্রিক ত্রুটিতে চিনের আকাশসীমায় ড্রোন, অনুপ্রবেশের অভিযোগ খারিজ নয়াদিল্লির ]
কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে কীরকম ছিল জিএসটি-র প্রকৃতি। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষায় এসেছিল এ প্রশ্ন। যা দেখে বিভ্রান্ত হয়েছেন বহু পড়ুয়া। কিন্তু এরকম প্রশ্নে একটুও অস্বাভাবিকতা দেখছেন না অধ্যাপক কৌশল কিশোর মিশ্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল সায়েন্সের অধ্যাপক তিনি। এ প্রশ্নপত্র তৈরিও তাঁর। নানারকম অভিযোগ পেয়ে তিনি জানান, এতে অবাক হওয়ার কী আছে। আজ যাকে আমরা জিএসটি বলে জানি, কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে তার উল্লেখ ছিল। কৌটিল্য চেয়েছিলেন, এক কর ব্যবস্থা। একতার ক্ষেত্রে তা জরুরি বলেই মনে করেছিলেন তিনি। এবং এখন যেরকম বিভিন্ন স্ল্যাবের ভাগ করা হয়েছে কর ব্যবস্থায়, তারও ধারণা দিয়ে গিয়েছিলেন কৌটিল্য। আলাদা আলাদা পণ্যের জন্য ভিন্ন করের কথা বলেছিলেন তিনি। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র সময়ের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল। অধ্যাপকের দাবি, এই বিষয়, প্রাচীন ভারতের কথা তো ছাত্রদের পড়ানো হয়। এরকম বিষয়ে বরং ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের দেশ সম্পর্কেই গর্বিত হতে পারবে।
[ মুসলিম ভোট টানতে কংগ্রেসের বিতর্কিত পোস্টার, নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি ]
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন অধ্যাপকও এ ধরনের প্রশ্নে মজা পেয়েছেন। ঠারেঠোরে কটাক্ষও প্রকাশ করেছেন। তাঁদের উদ্দেশ্যে এই অধ্যাপকের বক্তব্য, যাঁরা চাণক্য আর কৌটিল্যের মধ্যে তফাত করতে না পারেন, তাঁদের পড়ানো ছেড়ে দেওয়াই উচিত। আর যে পড়ুয়ারা এতে বিভ্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের গবেষণাও ছেড়ে দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
[ এবার ছাত্রীদের জিন্স পরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হল এই কলেজে ]
এদিকে বিশ্বায়ন নিয়ে প্রথম চিন্তক ছিলেন মনু, এরকম প্রশ্নও এসেছিল। তাও এসেছে এই অধ্যাপকের হাত ধরেই। পলিটিক্যাল সিস্টেমের উপর বেশ কিছু প্রশ্ন তিনি তৈরি করেছিলেন। যেখানে বিজেপি, কংগ্রেস ও আপ-এর উল্লেখ আছে। তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তিনি বলেন, এই বিষয় তো সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত। তাহলে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আপত্তি কীসের। যাঁরা এতে রাজনৈতিক দলের প্রচারের ছুতো খুঁজছেন, তাঁরা ভুল করছেন। অধ্যাপকের দাবি, দেশ বদলাচ্ছে প্রশ্নপত্রও বদলাবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী টাইমস স্কোয়ারে গিয়ে হিন্দিতে বক্তৃতা দিয়েছিলেন, এরকম কি আগে কখনও হয়েছিল। তাহলে প্রশ্নপত্রও চিরকাল একরকম থাকবে কেন, প্রশ্ন অধ্যাপকের।
[ জামা মসজিদ আসলে যমুনা দেবীর মন্দির, বিজেপি নেতার দাবিতে বিতর্ক ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.